ভোট পরবর্তী হিংসা ও একাধিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নানা অভিযোগ তুলে শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তবে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের দাবি,পুলিশ যখন কমিশনের আওতায় ছিল, তখনই ভোট পরবর্তী সিংহভাগ খুন হয়েছে বাংলায়। বলা ভালো সিংহভাগ খুন হয়েছে তখনই, যখন পুলিশ কমিশনের নিয়ন্ত্রণে, এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য। প্রসঙ্গত ভোটের ফলাফলে বিজেপির ভরাডুবির পরই দুদিনে ১৬টি খুনের ঘটনা সামনে আসে। এরপরের পাঁচ দিনে পাঁচটি খুনের অভিযোগ। গত ৭ই জুন আদালতে এফিডেভিট করে এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য। এদিকে বিজেপি কর্মীদের খুনের ঘটনা নিয়ে স্পেশাল ইনভেসটিগেশন টিমের মাধ্যমে তদন্তের দাবিও উঠেছে।
তবে রাজ্য সরকার আদালতকে জানিয়েছে, ২রা মে থেকে ৩রা মে পর্যন্ত আইন শৃঙ্খলা মেশিনারি, কেন্দ্রীয় বাহিনী, রাজ্য পুলিশ সবটাই কমিশনের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ৩রা মে পর্যন্ত নির্বাচনী বিধি লাগু করা ছিল। এরপর নির্বাচনী বিধি তুলে নেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেওয়ার পর ধীরে ধীরে হিংসার ঘটনা কমতে থাকে। জানিয়েছে রাজ্য।
প্রসঙ্গত দুটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই শুনানি হয়েছে আদালতে। একটি পিটিশন করেছেন সমাজকর্মী অরুন মুখোপাধ্যায়। অপর চারজন হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবিতে মামলা করেছেন। পাশাপাশি পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা ও অভিযোগ নিতে অস্বীকার করার বিষয়টিও আদালতে জানানো হয়েছে।