অভাবের তাড়নায় সন্তান বিক্রি ভারতের মতো গরিব দেশে নতুন কিছু নয়। ভারত ও তার প্রতিবেশী দেশগুলি, আফ্রিকার দেশে এমন ঘটনা আকছাড় ঘটে। কিন্তু সন্তান বিক্রি করেই রোজগার! এমন ঘটনা খুব একটা ঘটে না। তেমনই একটি ঘটনার খোঁজ মিলল জলপাইগুড়ির মহামায়াপাড়ায়। অভিযোগ, বাবলি দাস নামে এক মহিলা তিন মাসের পুত্রসন্তানকে বিক্রি করেছেন দালালের কাছে। বিষয়টি আঁচ করে পুলিশকে জানান স্থানীয়রা। ঘটনার তদন্ত করছে কোতয়ালি থানার পুলিশ।
স্থানীয়দের দাবি, ৬ সন্তানের মা বাবলি এর আগেও ৪ সন্তানকে বিক্রি করেছেন। সন্তান হওয়ার পর তারা যায় কোথায়? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল এলাকাবাসীর মনে। এবার বাবলি গর্ভবতী হলে তার উপর নজর রাখতে শুরু করেন স্থানীয়রা। তিন মাস আসে পুত্রসন্তানের জন্ম দেয় সে।
অভিযোগ, এলাকাবাসী নজর রাখছে বুঝে মাত্র দেড় মাস বাপের বাড়িতে থেকেই শিলিগুড়িতে শ্বশুরবাড়িতে চলে যান বাবলি। সেখানেও লোক মারফত তার খবর নিতে থাকেন জলপাইগুড়ির মহামায়াপাড়ার কয়েকজন।
সম্প্রতি তারা জানতে পারেন, ফের সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছেন বাবলি। এবার ভোলা সিং নামে এক অবাঙালি দালালের মাধ্যমে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে বিক্রি করা হয়েছে শিশুটিকে। চুক্তি হয়েছে ৪০,০০০ টাকায়।
এর পরই গোটা ঘটনা কোতয়ালি থানার পুলিশকে গোটা ঘটনা জানান স্থানীয়রা। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তদন্তকারীরা। সত্যিই বারবার সন্তান বিক্রি করেছেন কি না বাবলি? কে বা কারা এই চক্রের পিছনে যুক্ত? জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।
গত বছর নভেম্বরে তামিলনাড়ুর তিরুনেলভেলি থেকে এসেছিল এমনই চাঞ্চল্যকর খবর। সেখানে কন্যা সন্তানকে বিক্রি করে মোবাইল ফোন ও সোনার গয়না কিনেছিলেন বাবা যেসুইরুদ্ধরাজ। মা পুষ্পলতা জানিয়েছিলেন, যমজ সন্তান হয়েছিল। একটি ছেলে ও একটি মেয়ে। তাঁকে না জানিয়েই কন্যা সন্তানটি বিক্রি করে দিয়েছেন তাঁর স্বামী।