বাড়ির সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত দেহ মা–মেয়ের। একই শাড়িতে ফাঁস লাগানো দু’জনের দেহ। এই অবস্থায় মা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হল বারাসতে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে গোপালনগরের ন’হাটা এলাকায়। এটা কী আত্মহত্যা? নেপথ্যে থাকা কাহিনীর খোঁজে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত মায়ের নাম শম্পা মণ্ডল (২৫)। তাঁর সঙ্গে মৃত্যু হয়েছে শম্পাদেবীর চার বছরের মেয়ে বীথি মণ্ডলেরও। মেয়েকে নিয়ে মা আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুমান। মৃতদেহ দু’টি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পারিবারিক অশান্তি থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শম্পার বাপের বাড়ি মালদহে। স্বামী পল্টন মণ্ডল কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতে থাকেন। কয়েক মাস আগে বাড়িতে এসেছিলেন। তবে আবার কাজে ফিরে যান। গ্রামের বাড়িতে মেয়েকে নিয়ে শম্পাদেবী থাকতেন। সেখানে ভাশুর ও জা’ও থাকেন। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই কথাবার্তা বলেছিলেন। রান্না নিয়ে জা–এর সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়েছিল। দুপুরের পর মেয়েকে নিয়ে নিজের ঘরেই ছিলেন শম্পাদেবী। কিন্তু রাত্রি হলেও মা–মেয়ে বাইরে না বেরনোয় সন্দেহ হয় পরিবারের লোকজনদের। তখন দরজার ফাঁক দিয়ে পরিবারের সদস্যরা দেখেন, মা–মেয়ের ঝুলন্ত মৃতদেহ। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। চার বছরের মেয়ের গলায় প্রথমে ফাঁস লাগানোর পর আত্মঘাতী হয়েছেন মা বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, শম্পা খুবই শান্ত–হাসিখুশি ছিলেন। পরিবারের বাকি সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। কিন্তু হঠাৎ কেন এমন হল? কেউ বুঝতে পারছেন না। স্ত্রী–মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে বেঙ্গালুরু থেকে স্বামী পল্টন রওনা দিয়েছেন। তাঁকে পুলিশই খবর দেয়। এখানে ফিরলে তাঁর সঙ্গে কথা বলবে পুলিশ। তদন্ত শুরু হয়েছে।