পুরুলিয়ায় সূচকাণ্ডে মেয়েকে খুনের দায়ে মা এবং তার 'প্রেমিককে' মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত। মঙ্গলবার পুরুলিয়া আদালতে শাস্তি ঘোষণা করা হয়। সেই রায়ের পর মা মঙ্গলা গোস্বামী দাবি করেন, তিনি নির্দোষ। তাঁর 'প্রেমিক' সনাতন গোস্বামী ঠাকুর অবশ্য আগাগোড়াই নির্লিপ্ত ছিলেন।
২০১৭ সালের জুলাইয়ে জ্বর এবং সর্দি-কাশি নিয়ে মেয়েকে হাসপাতালে ভরতি করেছিলেন মঙ্গলা। সাড়ে তিন বছরের মেয়ের শরীরের একাধিক ক্ষত ছিল। শরীরে একাধিক আঁচড়ের চিহ্নও বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা যায়, শিশুকন্যার শরীরে সাতটি সূচ বিঁধে আছে। কীভাবে সেই সূচ ফুটল, তার কোনও সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। প্রাথমিকভাবে মঙ্গলা অভিযোগ করেছিলেন, সনাতন তাঁর মেয়েকে নির্যাতন করেছেন। যদিও পরে তদন্তে উঠে আসে ভিন্ন তথ্য। জানা যায়, মঙ্গলবা এবং সনাতনের ‘প্রেমের’ পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছিল শিশুকন্যা। তাই তাকে হত্যা করা হয়েছিল।
সেই মামলায় শনিবারই মঙ্গলা এবং ‘প্রেমিক’ সনাতনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল পুরুলিয়ার আদালত। সরকারি আইনজীবীর আর্জিতে সোমবার রায়দান স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। রায়দানের ঠিক আগের মুহূর্তে সরকারি আইনজীবী বিচারকের কাছে দাবি জানিয়েছিলেন, সংশ্লিষ্ট আইনের ধারাগুলি খতিয়ে দেখে যেন অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়। শেষপর্যন্ত মঙ্গলবার সাজা ঘোষণা করা হয়। দু'জনকেই ফাঁসির সাজা দিয়েছে আদালত। রায়ের পর অবশ্য মঙ্গলা দাবি করেছেন, তিনি নির্দোষ। যদিও একেবারে নির্লিপ্ত ছিলেন 'প্রেমিক' সনাতন।