দুই বউমার সঙ্গে শাশুড়ির বনিবনা হচ্ছিল না। অশান্তি রোজ লেগেই ছিল। এবার দুই বৌমা একই ঘরে ছিলেন। তখন শাশুড়ি এসে হঠাৎ তাঁদের গায়ে কেরোসিন তেল ছুঁড়ে দেন। সঙ্গে সঙ্গে দেশলাই জ্বেলে তাক করেন তাঁদের দিকে। আগুন লেগে যায় গোটা বাড়িতে।
শাশুড়ি–বউমার অশান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেল। বউমার গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল শাশুড়ির বিরুদ্ধে। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে হুগলির ভদ্রেশ্বরে। একসঙ্গে দুই বউমাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠল শাশুড়ির বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছে ভদ্রেশ্বরে? স্থানীয় সূত্রে খবর, দুই বউমার সঙ্গে শাশুড়ির বনিবনা হচ্ছিল না। অশান্তি রোজ লেগেই ছিল। এবার দুই বৌমা একই ঘরে ছিলেন। তখন শাশুড়ি এসে হঠাৎ তাঁদের গায়ে কেরোসিন তেল ছুঁড়ে দেন। সঙ্গে সঙ্গে দেশলাই জ্বেলে তাক করেন তাঁদের দিকে। আগুন লেগে যায় গোটা বাড়িতে। ছোট বউমা পালিয়ে বাঁচেন। আর বড় বউমা আগুনে ঝলসে যান। তিনি এখন চূঁচুড়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঠিক কী অভিযোগ দুই বউয়ের? এই দুই গৃহবধূ পুলিশকে জানিয়েছেন, শাশুড়ি ও ননদ মিলে বাড়ি থেকে তাড়াতে চাইত আমাদের দু’জনকে। তবে আগুনে পুড়িয়ে মারতে চাইবে এটা ভাবিনি কেউ। বাড়ি বিক্রি করা নিয়েই অশান্তির সূত্রপাত। এই বাড়ি বিক্রি করার পক্ষে ছিলাম আমরা। কিন্তু শাশুড়ি–ননদ বিপক্ষে দাঁড়িয়ে এই অশান্তি চালাচ্ছিল। এবার মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়।