পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে মানসিক ভারসাম্যহীন নাবালিকা মেয়েকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে। মেয়েকে খুন করে ভরা বাজারে বেরিয়ে চিৎকার করে সেকথা বলতেও শুরু করে পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। অভিযুক্ত মাকে আটক করেছে পুলিশ। মানসিক বিকার না অনটন? খুনের কারণ খুঁজছে পুলিশ।
বুধবার সকাল সাড়ে ন'টা নাগাদ খেজুরির বিদ্যাপীঠ বাজারে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে সাগরিকা পাত্র নামে স্থানীয় এক মহিলা বলতে থাকেন, ‘ও বলছিল, মা রান্না করো। আর জ্বালাবে না। আমি ওর মাথা কেটে দিয়েছি। আমার মেয়ের মাথা আমি কেটেছি। বেশ করেছি।’ সাগরিকাদেবীর স্বামী বিশ্বজিৎ পাত্র পেশায় মোবাইল মেকানিক তিনি। বাড়ির সামনেই দোকান।
কিছুটা অপ্রকৃতস্থ ওই মহিলার মুখে এসব শুনে ঘরে এসে প্রতিবেশীরা দেখেন, পড়ে রয়েছে সাগরিকাদেবীর ৯ বছরের মেয়ের দেহ। ধড়-মুন্ডু আলাদা। রক্তে ভেসে যাচ্ছে গোটা ঘর। পুলিশে খবর দেন তাঁরা। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। সঙ্গে আটক করে নিয়ে যায় ঘাতক মাকে। প্রতিবেশীদের তিনি জানিয়েছেন, বঁটি দিয়ে মেয়ের গলা কেটেছেন তিনি।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ৮ বছর ধরে ওই বাড়িতে থাকতেন দম্পতি। জন্ম থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন তাঁদের মেয়ে। মা-ও কিছুটা অপ্রকৃতস্থ। তাই বলে মা মেয়েকে খুন করে ফেলবে এটা ভাবতে পারিনি। সাগরিকা পাত্রকে জেরা করে খুনের কারণ জানার চেষ্টা করছেন পুলিশ আধিকারিকরা।