দু’বছরের মেয়েটি তখন স্তনপান করছিল। খুব খিদে পেয়েছিল তার। তখন অবশ্য মায়ের প্রেমিক ফোন করেছিলেন। চলছিল মিষ্টি মিষ্টি কথা। এমন সময়ে মায়ের স্তনবৃন্ত কামড়ে ফেলেছিল শিশুটি। এটা অবশ্য সহজাত প্রবৃত্তি শিশুদের। তাতেই ব্যথ্যা অনুভব করেছিল পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়া মা। এমনকী সেটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল প্রেমালাপে। তখনই রাগের চোটে কোলের সন্তানকে বালিশ চাপা দিয়ে মারল মা! এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে তা কল্পনাও করতে পারছেন না অনেকে।
এখানেই শেষ নয়। এমন ঘটনা ঘটিয়ে আবার নিজেকে বাঁচাতে গল্পও সাজিয়ে ফেলে খুনে অভিযুক্ত মা। খুন করার পর তার কোনও অনুতাপের ছাপ মুখে দেখা যায়নি। বরং নিজের দোষ ঢাকতেও ব্যস্ত ছিল সে। তবে শেষরক্ষা করা যায়নি। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার এই ঘটনায় অভিযুক্ত মহিলা ও তার প্রেমিককে আটক করল পুলিশ। খুনে অভিযুক্ত মায়ের নাম পূজা।
কী গল্প সাজিয়েছিল খুনি মা? এই ঘটনা ঘটিয়ে মা পুজা প্রতিবেশীদের বলে, দুপুরে বাড়ির উঠোনে লেপ রোদে দিয়েছিল। সেই লেপের উপরই খেলছিল মেয়ে। তখন সে রান্না করছিল। কিছুক্ষণ পরে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে উঠোনে গিয়ে এসে দেখে, মেয়ে লেপের মধ্যে জড়িয়ে রয়েছে। বুক ওঠানামা করছে না। নাকের কাছে হাত দিয়ে দেখে শ্বাসপ্রশ্বাস পড়ছে না। এই কথায় সন্দেহ হওয়ায় প্রতিবেশীরাই পুলিশে খবর দেয়। পুলিশও এই সাজানো গল্প বিশ্বাস করেনি।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অবশ্য বয়ান পরিবর্তন করে পুজা। পুলিশ সূত্রে খবর, পুজা জেরায় জানিয়েছে, স্তন্যপান করার সময় তার বৃন্তে কামড়ে দেয় শিশুটি। যন্ত্রনায় রেগে গিয়ে শিশুটিকে বালিশ চাপা দিয়ে দেয় সে। কিন্তু সে বুঝতে পারেনি মেয়েটি মারা যাবে। যদিও এই কথাও বিশ্বাস করেনি পুলিশ। এরপরই তদন্তে উঠে আসে প্রতিবেশী দেবাশিস মণ্ডলের নাম। পুজার স্বামী দেবাশিস জানা কর্মসূত্রে আন্দামানে থাকেন। স্বামীর অনুপস্থিতিতে প্রতিবেশী দেবাশিস মণ্ডলের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে ওই গৃহবধূ। তার সঙ্গেই চলছিল ফোনে প্রেমালাপ চলছিল। যার জেরে বলি হতে হল শিশুকে।