বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Chakdah Murder: মেয়েকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ মায়ের প্রেমিকের বিরুদ্ধে, পরকীয়া বাধায় কি হত্যা?

Chakdah Murder: মেয়েকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ মায়ের প্রেমিকের বিরুদ্ধে, পরকীয়া বাধায় কি হত্যা?

খুন হয়েছে দ্বাদশ শ্রেণির এই ছাত্রী।

মেয়ে তাঁদের প্রেমের মাঝে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ানোয় লিপিকার উপর রাগ হয় সুজিতের। পথের কাঁটাকে সরাতে তার বন্ধুদের নাকি সে একথা জানিয়েছিল। বলেছিল, প্রয়োজনে জেল খাটতে হলেও সে খাটবে। তারপর জেঠিমা যখন বাড়ির কাজে ব্যস্ত তখন মেয়ে লিপিকাকে নিয়ে তাঁর মা মাঠে যান সর্ষের খেতে কাজ করতে।

মায়ের প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় খুন হতে হল অষ্টাদশী লিপিকা মণ্ডলকে। তাঁকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে মায়ের প্রেমিক সুজিত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। চাকদা ব্লকের বিষ্ণুপুর পঞ্চায়েতের খামারপাড়া‌ এলাকায় এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। মায়ের প্রেমিকের হাতে ‘খুন’ হয়েছে দ্বাদশ শ্রেণির এই ছাত্রী। মৃত ওই ছাত্রীর পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। মেয়েটির মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তবে প্রেমিক ফেরার।

ঠিক কী ঘটেছে চাকদায়?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, মেয়েটির বাবা মারা যাওয়ার পর এলাকার এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল মা। এটাই মেনে নিতে পারেননি দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। এমনকী বাড়ির মধ্যে দু’‌জনকে সহবাস করতে দেখে ফেলে মেয়ে লিপিকা মণ্ডল। তাই নিয়ে বাড়িতে শুরু হয় অশান্তি। তারপরই প্রেমের রাস্তা থেকে কাঁটা সরিয়ে ফেলতে মেয়েকে খুনের ছক কষে তাঁর মায়ের প্রেমিক। আর পরিকল্পনা করে সর্ষে খেতে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়।

পরিবারের অভিযোগ ঠিক কী?‌ মৃত ছাত্রীর জেঠিমা রীতা মণ্ডল বলেন, ‘‌লিপিকার বাবা অনেক আগেই মারা গিয়েছেন। তারপরই জা সুন্দরী মণ্ডল স্থানীয় যুবক সুজিতের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ওই যুবক পেশায় সবজি বিক্রেতা। বাবার মৃত্যুর পর লিপিকা তার মা ও আমার কাছেই বড় হয়েছে। লিপিকা তার মায়ের এই সম্পর্ককে মেনে নিতে পারেনি। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে একাধিকবার ঝগড়াও হয়েছে। মাকে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে বলেছিল লিপিকা। তাই খুন হতে হল।’‌

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ সূত্রের খবর, মেয়ে তাঁদের প্রেমের মাঝে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ানোয় লিপিকার উপর রাগ হয় সুজিতের। পথের কাঁটাকে সরাতে তার বন্ধুদের নাকি সে একথা জানিয়েছিল। বলেছিল, প্রয়োজনে জেল খাটতে হলেও সে খাটবে। তারপর জেঠিমা যখন বাড়ির কাজে ব্যস্ত তখন মেয়ে লিপিকাকে নিয়ে তাঁর মা মাঠে যান সর্ষের খেতে কাজ করতে। তখন বাড়ির কাছে পুকুরে মাছ ধরছিলেন কয়েকজন। লিপিকাকে তাঁর মায়ের সঙ্গে আসতে দেখেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রেমিক সুজিত। একের পর এক কোপ বসায় মেয়েটির শরীরে। তারপর ওখানেই ফেলে রেখে পালিয়ে যায় মহিলা ও তার প্রেমিক।

পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে মেয়ে লিপিকা মণ্ডলকে (‌১৮)‌। তাঁর শরীরের একাধিক জায়গায় কোপানো হয়েছে। ডান হাতের কবজিও আলাদা করে দিয়েছে আততায়ী। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কল্যাণী পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার পর সুজিত বিশ্বাস পলাতক। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রটিও উদ্ধার হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে লিপিকার মা সুন্দরী মণ্ডলকে। এই খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চাকদহ থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে পাকড়াও করতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

বন্ধ করুন