একুশের নির্বাচনের মুখে শুভেন্দু–শিশির–সৌমেন্দুর মতো তাঁরও বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা দানা বেঁধেছিল। তখন অবশ্য তিনি বলেছিলেন, আমি তো পাগলা ষাঁড় নই। তিনি অবশ্য পদ্ম পতাকা তুলে নেননি। হ্যাঁ, তিনি কাঁথির অধিকারী বাড়ির সেজ ছেলে দিব্যেন্দু অধিকারী। এখন একুশের নির্বাচন মিটে গিয়ে ফলপ্রকাশ হয়ে গিয়েছে। তৃতীয়বার বাংলার কুর্সিতে হ্যাট্রিক করে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন প্রশ্ন, দিব্যেন্দুর রাজনৈতিক অবস্থান ঠিক কী? এই প্রশ্ন ওঠার কারণ বাড়িতে আরও পদ্ম ফুটবে বলে দাবি করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এখন তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এতকিছুর পরও খাতায় কলমে দিব্যেন্দু অধিকারী এখনও তৃণমূল কংগ্রেসেরই সাংসদ। এখনও তিনি বিজেপিতে যোগ দেননি। কিন্তু কেন্দ্রের বিজেপি সরকার তাঁকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দিয়েছেন। কেন দিলেন? পূর্ব মেদিনীপুর জুড়ে এখন এই চর্চা তুঙ্গে। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে আছেন নাকি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যা নিয়ে মুখ খুললেন এই সাংসদ।
এদিন সংবাদমাধ্যমকে দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আমি তৃণমূল কংগ্রেসেই আছি। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা হিসেবেই আমি কাজ করছি। কেন্দ্র কেন নিরাপত্তা দিয়েছে, সেটা কেন্দ্রীয় সরকারকে জিজ্ঞাসা করা হোক। রাজ্য সরকার কেন আমার নিরাপত্তা তুলে নিল?’ জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রয়েছে বলেই আর রাজ্য নিরাপত্তা দিচ্ছে না। কিন্তু এই ঘটনায় তিনি ক্ষুব্ধ। তাই তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে তিনি কী বিজেপিতে যোগ দেবেন? দিব্যেন্দুর জবাব, ‘এখনও পর্যন্ত কিছু ভাবিনি। তবে যারা আক্রমণ করেছেন আমার পরিবারকে, তার মানে আমাকেও আক্রমণ করা।’
উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী দলবদল করার পর থেকেই গদ্দার–মীরজাফর বলে আক্রমণ করা হয়েছিল। তখন দিব্যেন্দু বলেছিলেন, মীরজাফর আসলে কে, তাঁর উত্তর তিনি পেয়ে যাবেন। ইতিহাস পড়ে দেখুন ভালো করে।' আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়া নিয়ে শিশির–পুত্র বলেছিলেন, উনি আবেগের বশে দাঁড়িয়েছেন। নন্দীগ্রামের মানুষ ওঁর সঙ্গে নেই। পদ্মফুল জাতীয় ফুল, তাকে উপড়ে ফেলার ক্ষমতা কারও নেই। কিন্তু নন্দীগ্রামে সামান্য ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারলেও ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেসই। তাই প্রশ্ন উঠছে দিব্যেন্দুর অবস্থান নিয়ে।