অভিভাবকরা বাড়িতে না থাকাকালীন যেন পরিবারের কোনও নাবালক বা নাবালিকা সদস্য কোনও ডেলিভ্য়ারি এজেন্টকে বাড়ির ভিতর ঢুকতে না দেয়!বৃহস্পতিবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডেল ও ফেসবুক প্রোফাইল থেকে এমনই বার্তা দিয়েছেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
কিন্তু, হঠাৎ করে সাংসদকে এমন পোস্ট করতে হল কেন? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীরামপুরেরই বাসিন্দা একটি পরিবারের কোনও এক সদস্য কোনও একটি সংস্থা থেকে অনলাইনে পোশাক কিনেছিলেন।
সেই পোশাকের ডেলিভারি আসে বুধবার। কিন্তু, যে সময়ে সংশ্লিষ্ট ডেলিভারি এজেন্ট ওই বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছন, সেই সময়ে বাড়িতে 'বড়রা' কেউ ছিলেন না। ছিল শুধুমাত্র এক নাবালিকা।
সূত্রের দাবি, ওই নাবালিকা ডেলিভারি এজেন্টকে জানায়, বাড়িতে কেউ নেই। জবাবে ওই যুবক মেয়েটিকে জানান, সে যদি নির্দিষ্ট মোবাইল নম্বরে পাঠানো ডেলিভারি সংক্রান্ত ওটিপি-টি জানাতে পারে, তাহলে তাকেই ওই পোশাকটি দিয়ে যাবেন তিনি।
এর প্রেক্ষিতে মেয়েটি জানায়, তার কাছে ওই নির্দিষ্ট মোবাইলটি নেই। সেই সময়ে ওই ডেলিভারি এজেন্ট তাকে বলেন, সে চাইলে কম্পিউটারে ইমেল দেখেও ওটিপি বলতে পারে। অভিযোগ, এরপর মেয়েটি বাড়ির ভিতরে ঢুকে কম্পিউটারে ওটিপি দেখতে গেলে ওই যুবকও তার সঙ্গে ভিতরে ঢোকেন এবং মেয়েটির সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন।
পরবর্তীতে মেয়েটি তার মাকে সব জানায় এবং এরই ভিত্তিতে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা। শ্রীরামপুর থানার পুলিশ সংশ্লিষ্ট অনলাইন সংস্থার মাধ্যমে অভিযুক্ত ওই যুবককে শনাক্ত করে এবং বুধবার রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার সকালে সংশ্লিষ্ট পোস্টটি করেন কল্যাণ। তিনি বুধবারের ঘটনাটি তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন। এবং শ্রীরামপুরের বাসিন্দাদের উদ্দেশে বার্তা দেন, তাঁরা যাতে তাঁদের নাবালক-নাবালিকা সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে আরও সচেতন ও সতর্ক থাকেন।
এই পোস্টটি ইতিমধ্য়েই বেশ কিছু নেট ইউজার রিটুইট করেছেন। কমেন্টও করেছেন অনেকে। তাতে কেউ কেউ বিস্ময় প্রকাশ করে লিখেছেন, একজন ডেলিভারি এজেন্টকে তো বাড়িতে কোনও অবস্থাতেই ঢুকতে দেওয়ার কথা নয়। তাহলে ওই যুবক ভিতরে ঢুকলেন কীভাবে?
কেউ কেউ আবার কটাক্ষ করে লিখেছেন, ওই যুবক নিশ্চয় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসেরই সদস্য! কারও দাবি, এই ধরনের কুকাজ যারা করছে, তার সকলেই বাংলার বাইরে থেকে আসা লোকজন। কেউ কেউ তো আরও একধাপ এগিয়ে নির্দিষ্ট একটি রাজ্য থেকে আসা মানুষজনকে কাঠগড়ায় তুলেছেন।