তাঁর দুই ছেলে এখন বিজেপিতে। তিনি নিজেও গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মঞ্চে। তারপর থেকে লাগাতার বিরোধিতাও করেছিলেন। এখন সাংসদ পদ খোয়া যেতে পারে বলে তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এমনই মনে করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক নেতারাই।
একুশের নির্বাচন থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। শিশির অধিকারীর ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল। তাই দলবিরোধী আইনে কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর পদ খারিজের আবেদন জানানো হয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। আগামী ২৮ জুলাই এই আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি করবে সংসদের প্রিভিলেজ এবং এথিকস কমিটি। আর শিশির অধিকারী নিজেই দাবি করেছিলেন, ‘আমি কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা হাতে তুলে নিইনি। আমি তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলাম, আছি, থাকব।’
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে কী বলেছিলেন শিশির? এই নির্বাচনে ক্রস ভোটিং নিয়ে শিশির অধিকারী বলেছিলেন, ‘দ্রৌপদী মুর্মু যোগ্য প্রার্থী। কিন্তু, নেত্রী যাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তাঁকেই ভোট দিয়েছি।’ এই কথাটি তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য বিশ্বাস করেননি। কারণ যিনি অমিত শাহের মঞ্চে গিয়ে যোগ দিয়েছিলেন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা মেনে ভোট দিয়েছেন তা অবিশ্বাস্য বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, তাঁর দুই ছেলে এখন বিজেপিতে। তিনি নিজেও গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মঞ্চে। তারপর থেকে লাগাতার বিরোধিতাও করেছিলেন। এখন সাংসদ পদ খোয়া যেতে পারে বলে তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এমনই মনে করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক নেতারাই। এখন একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে।