সম্প্রতি বিজেপির হারের কারণ তুলে ধরতে গিয়ে তৃণমূলের উন্নয়নের দিকটি তুলে ধরেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। জিতেন্দ্রর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিলেন কুলটির বিজেপি নেতা বিবেকানন্দ ভট্টাচার্য। জিতেন্দ্রকে নিশানা করে বিবেকানন্দ জানান, ‘জিতেন্দ্রর মুখোশ খুলে যাচ্ছে, আগামীদিনে আরও মুখোশ খুলে যাবে।’
সম্প্রতি আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়ে গিয়েছে। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে বিজেপিকে প্রায় তিন লাখের মতো ভোটে হারিয়ে জয়লাভ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। কিন্তু কেন এইরকম শোচনীয় হার হল বিজেপির। গত লোকসভা ভোটে জেতা আসন কেন হাতছাড়া হয়ে গেল? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানান, ‘আমার ব্যক্তিগত অভিমত, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী ও স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষ দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে পেয়েছেন। এর প্রভাব ভোটারদের ওপর পড়েছে।’ জিতেন্দ্রর এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর তাঁর দলের লোকেরাই এবার মুখ খুলতে শুরু করেছে। কুলটিতে বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য বিবেকানন্দ ভট্টাচার্যের মতে, ‘জিতেন্দ্রবাবু ইলেকশান কমিটির একজন গন্যমান্য ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর ওপর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ছিল। জিতেন্দ্রবাবুর মুখোশ খুলে যাচ্ছে। আগামীদিনে আরও মুখোশ খুলে যাবে। মমতাদিদির জয়গান গাইছেন। আগামীদিনে আরও জয়গান গাইবেন। তিনি রাস্তা প্রশস্ত করছেন তৃণমূলে যাওয়ার।’
এর আগে তৃণমূলেই ছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। গত বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে প্রথমবার বিজেপিতে গিয়েও ফিরে এসেছিলেন জিতেন্দ্র। এরপর ফের তৃণমূল থেকে পাকাপাকি বিজেপিতে যোগদান করেন জিতেন্দ্র। জিতেন্দ্রর আগে বিজেপিতে থাকা অবস্থায় তৃণমূলের উন্নয়নের প্রশংসা পাওয়া গিয়েছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। পরবর্তীকালে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি ছেড়ে অবশ্য তৃণমূলে যোগদান করেন।