মুকুল বিজেপি ছাড়তেই বনগাঁয় বিজেপির শক্ত ঘাঁটিতে ভাঙন শুরু। দলের সাংগঠনিক পদ থেকে পদত্যাগ করলেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি তপন সিনহা। জানা যাচ্ছে, বিজেপির এই নেতা মুকুল ঘনিষ্ঠ। উল্লেখযোগ্য বিষয়, এদিনের দিলীপের বৈঠকে ছিলেন না বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। এছাড়া আরও তিন বিধায়ক গরহাজির ছিলেন।
শুক্রবার দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যেদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে গেলেন, সেইদিনই দলের সাংগঠনিক পদ থেকে পদত্যাগ করে চিঠি দিলেন মুকুল ঘনিষ্ঠ এই নেতা। চিঠিতে মুকুল ঘনিষ্ঠ এই নেতা জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই দলের হয়ে কাজ করতে পারছিলাম না। সেই কারণেই পদত্যাগ করলাম। চিঠির প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মনস্পতি দেব।
তাহলে কী তিনি অন্য কোনও শিবিরে যোগ দিতে চলেছেন। সেবিষয়ে অবশ্য খোলসা করে কিছু বলতে না চাইলেও মুকুল ঘনিষ্ঠ নেতা বলেন,‘গত কয়েকদিন ধরে দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি আমি জানতে পারছিলাম না। আসলে আমাকে জানানো হচ্ছিল না।শারীরিকভাবেও পেরে উঠছি না। তাই এবার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলাম।ভবিষ্যতে কী করব সেটা পরে ভাবব।’ এই প্রসঙ্গে দলের জেলা সম্পাদক দেবদাস মণ্ডলের অবশ্য দাবি, দল ক্ষমতায় আসেনি। তাই নিজের স্বার্থসিদ্ধি হবে না বলেই তিনি তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না।
এদিনের বৈঠকে বানগাঁর সাংসদ ছাড়াও যে তিন জন বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন না, তাঁরা হলেন, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া ও বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিত দাস। জানা গিয়েছে, সুব্রত ঠাকুর অসুস্থতার কারণে আসতে পারেননি। বনগাঁ উত্তরের বিধায়কের আসার কারণ জানা যায়নি ও বাগদার বিধায়ক কলকাতায় ডাক্তার দেখাতে গেছেন বলে আসতে পারেননি। তবে বনগাঁর সাংসদ কেন আসতে পারেননি, সেবিষয়ে কিছু জানা যায়নি। এই বিষয়ে দলের রাজ্য সভাপতিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,‘আমি কী করে বলব। জেলার যেসব কর্মী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, অনেকে তাঁদের সঙ্গে আছেন। আসবেন হয়ত।’ কিন্তু শেষ পর্যন্ত কারোরই দেখা মেলেনি।