২০১০ সালের লাভপুর হত্যা মামলায় বোলপুর হত্যা মামলায় মঙ্গলবার বোলপুর আদালতে হাজিরা দিলেন মুকুল রায়। এদিন সাংবাদিকরা তাঁকে ভোটের ফল নিয়ে জিজ্ঞাসা করেন। কিন্তু তিনি কিছুই বলেননি।
লাভপুরে তিন ভাইকে খুনের মামলায় মঙ্গলবার বোলপুর আদালতে হাজিরা দেন মুকুল রায় ও মণিরুল ইসলাম। এই মামলায় যে ২৩ জনের সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা পড়ে সেই চার্জশিটে মুকুল রায় এবং মনিরুল ইসলামের নাম ছিল। যদিও তাঁরা তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে হাইকোর্টে থেকে জামিন নিয়ে আত্মসমর্পন করেন। আজ মঙ্গলবার কোর্ট ট্রান্সফার কমিটমেন্টের দিন ছিল। সেই জন্য সকলকে হাজির থাকতে বলা হয়েছিল। তাই বোলপুর আদালতে মুকুল রায় হাজির হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন। সন্দেশখালি কাণ্ডে নয়া মোড়, বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাসকে জেল হেফাজতের নির্দেশ
আইনজীবী ফিরোজকুমার পাল জানিয়েছেন, মামলাটি বিচারের জন্য সল্টলেকের বিধায়ক-সাংসদ আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হল।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে লাভপুরের তিন ভাই খুন হওয়ার ঘটনায় ৬৪ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়। কিন্তু তদন্তের পর যে চার্জশিট জমা পড়ে তাতে ৪২ জনের নাম ছিল। বাদ পড়ে ২২জনের নাম।
এই মামলায় অভিযোগকারী সানোয়ার শেখ আবারও তদন্তের জন্য আদালতে যান। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে। বিশেষ একজন অফিসার তদন্ত করেন। তিনি আরও ২৩ জনের নাম যোগ করেন সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিটে।
আরও পড়ুন। সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন TMC বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা, কোন যুক্তিতে মিলল?
এদিন আদালত থেকে বেরোনর সময় সাংবাদিকরা মুকুল রায়ের কাছে জানতে চান, এবার লোকসভা ভোটে কি ফল তিনি আশা করছেন। উত্তরে নীরব থাকেন তিনি। তাঁর সঙ্গ এক যুবক তাঁর কানে বলেন, ‘তৃণমূল জিতবে।’ কিন্তু তারপরও তিনি নীরব থাকেন।
অসুস্থতার কারণে তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি থেকে দূরে রয়েছেন মুকুল রায়। মাঝে এবার তার বাড়িতে ইডিও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসে। কিন্তু বেশি সময় না নিয়ে ফিরে যায়। ভোটে প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণা হওয়ার পর তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া অর্জুন সিং। তিনি প্রবীণ রাজনীতিবিদের শুভেচ্ছা নেন। তাঁকে ‘বিজয়ী ভব’ বলে আশীর্বাদও করেন। তিনি বাইরে খুব একটা বেরন না। ঘরে মধ্যেই থাকেন। মাঝে মাঝে ঘরে বারান্দা ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। মঙ্গলবার মুকুল রায় বোলপুর আদালতে এলেন।