বিজেপির সৈনিক হিসেবেই এই রাজ্যে গণতন্ত্রকে পুনর্বহাল করার লড়াই জারি রাখব আমি। সব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে টুইট করে আপাতত বিজেপির হয়ে লড়াই করার বার্তা দিলেন বাংলার 'চাণক্য'। উল্লেখ্য, দীর্ঘ ২০ বছর পর নির্বাচনী ময়দানে নামা মুকুল রায়কে নিয়ে গতকাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে। এর নেপথ্যে অবশ্য মুকুল রায়ের আচরণই 'দায়ী'।
শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায় শপথ গ্রহণ করেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়। তবে শুক্রবার বিজেপির কোনও নেতার সঙ্গে সেরকম কোনও কথাবার্তা বলতে দেখা গেল না তাঁকে। বরং বিধানসভায় ঢুকেই মুকুল রায় গিয়েছিলেন তৃণমূল পরিষদীয় দলের ঘরে। তারপর যান শপথগ্রহণ কক্ষে। সেখানে প্রোটেম স্পিকার সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কাছে শপথগ্রহণ করেন। পরে অধিবেশন কক্ষে থাকা তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির সঙ্গে সৌহার্দ্য বিনিময় হয় তাঁর।
এদিকে দিলীপ ঘোষের সভাপতিত্বে বিজেপি পরিষদীয় দলের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও সেই মুখো হননি মুকুল রায়। বিধানসভা ভবন থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'আমি আজ কিছু বলব না। যখন বলার হবে তখন তোমাদের ডেকে নেব। মানুষের জীবনে এমন দু'একটা দিন আসে যখন মানুষকে চুপ থাকতে হয়।' আর মুকুল রায়ের এহেন মন্তব্যের পরই শুরু হয় জোর জল্পনা।
তবে সেসব জল্পনাতে কিছুটা হলেও জল ঢেলে এদিন মুকুল রায় টুইট করে লেখেন, 'বিজেপির সৈনিক হিসেবেই এই রাজ্যে গণতন্ত্রকে পুনর্বহাল করার লড়াই জারি রাখব আমি। আমি সবাইকে অনুগ্রহ করব যাতে তারা সব সাজানো গল্প এবং জল্পনা দূরে সরিয়ে রাখে। আমা আমার রাজনৈতিক পথে দৃঢ়।'
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরে বিধানসভায় নতুন বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা ছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। সেই বৈঠকে যোগ না দিয়েই বিধানসভা থেকে চলে যান মুকুল। আর এসব থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছ, তবে কি দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে মুকুল রায়ের? এদিকে রাজনৈতির মহলে জল্পনা, বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা হওয়ার বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দৌড়ে রয়েছেন মুকুল রায়। তবে সেই দৌড়ে কিছুটা হলেও হয়ত এগিয়ে মমতাকে হারানো শুভেন্দু অধিকারী। তবে রাজনৈতিক অঙ্ক কষাকষি এবং সমীকরণের মাঝে মুকুলের মৌনতা জল্পনার পারদ চড়িয়েছিল। সেই পারদ কমাতে এবার টুইট বার্তা মুকুল রায়ের।