বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। বিয়ের মাত্র ১১দিনের মাথায় ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে নির্যাতনের বড় অভিযোগ তুলেছেন তাঁরই স্ত্রী। নাম স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী। তিনি রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়কের স্ত্রী।
এদিকে বিজেপির ওই বিধায়ক পেশায় চিকিৎসক। সূত্রের খবর, তিনি জামিনের জন্য ইতিমধ্য়েই চেষ্টা চালাচ্ছেন। কারণ তিলজলা থানায় মুকুটমণির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরই স্ত্রী। এদিকে এই অভিযোগ প্রকাশ্য়ে আসার পরেই স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে দলের রাজ্য শীর্ষ মহল। পঞ্চায়েত ভোট পর্বের মধ্য়েই এই খবরের জেরে দল যথেষ্ট বেকায়দায় পড়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে বিজেপি বিধায়ক কেন প্রকাশ্য়ে এসে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করছেন না? এটা নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ এই অভিযোগের কথা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই দলের নীচুতলার কর্মীরাও নানা কথা বলতে শুরু করেছেন। সেই সঙ্গেই তৃণমূলের তরফ থেকেও এনিয়ে নানা কানাঘুষো চলছে। তবে মুকুটমণির মুখে কুলুপ দিয়েছেন বলে খবর।
২৮ মে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেছিলেন মুকুটমণি। স্বস্তিকা ও মুকুটমণির মধ্য়ে পূর্ব পরিচিতি ছিল বলে খবর। এরপর ২৮ মে তাঁরা বিয়ে করেন। পরিবারের লোকজনও উপস্থিত ছিলেন এই রেজিস্ট্রি পর্বে। কিন্তু বিয়ের কয়েকদিন পরেই তাঁর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গোটা অভিযোগ নিয়ে মুকুটমণি কার্যত নীরব। আবার বিজেপি নেতারাও ব্যক্তিগত বিষয় বলে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইছেন না। সব মিলিয়ে গোটা বিষয়টি নিয়ে অদ্ভূত নীরবতা।
কিন্তু বিজেপির অন্দরমহল সূত্রে খবর, মুকুটমণি অধিকারী অনেকদিন ধরেই বিজেপির শীর্ষনেতাদের গুডবুকে রয়েছেন। দলের অনেকেই তাঁর প্রতি আস্থা রাখেন। মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্য়েও জনপ্রিয়তা রয়েছে তাঁর। তার মধ্য়েই সামনে এল বধূ নির্যাতনের অভিযোগ। কীভাবে সামাল দেবেন বিধায়ক সেটাই এখন দেখার। তবে পুলিশও ইতিমধ্য়েই এনিয়ে সক্রিয় হয়েছে।
তবে সূত্রের খবর, আদালত তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জর করলে তারপরই তিনি গোটা বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্য়ে ব্যাখা দিতে পারেন। মূলত বিয়ের পর থেকেই বিধায়কের বিরুদ্ধে উঠেছে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ। এতে আরও বেকায়দায় বিধায়ক।এমনকী বিধায়কের ভাই ও বাবার বিরুদ্ধেও উঠেছে অভিযোগ।