রেলে ফের বিপত্তি। বড়সড় দুর্ঘটনা হাত থেকে সুরক্ষা পেল মালগাড়ি। চলতে চলতে আচমকাই ইঞ্জিন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল বেশ কয়েকটি বগি। যদিও বগিগুলি লাইনচ্যুত হয়নি। রেল লাইনের পাশেই রয়েছে বহু বাড়ি। ফলে সেক্ষেত্রে বড়সড় দুর্ঘটনা হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে মালগাড়িটি। আজ সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ফরাক্কা থানার খোদা বন্দরপুর এলাকায়। এর ফলে ওই লাইনে বেশ কিছুক্ষণ ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। কেনও বারবার এরকম ঘটনা ঘটছে এই নিয়ে চিন্তিত সাধারণ মানুষ থেকে রেল কর্তারা। গত কিছুদিনে রেলের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বেশ কিছু খবর এরকম প্রকাশ্যে এসেছে।
আরও পড়ুন: হাওড়া-মুম্বই মেলের দুর্ঘটনায় মৃত ২, আহত ২০, বাতিল একাধিক ট্রেন, রইল পুরো তালিকা
জানা গিয়েছে, ধুলিয়ানের দিক থেকে ফরাক্কার দিকে যাচ্ছিল মালগাড়িটি। সেই সময় চলন্ত অবস্থাতেই আচমকা ইঞ্জিন থেকে বেশ কয়েকটি বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পর সেই কামরাগুলি রেল লাইনে থেমে যায়। এদিকে, বিষয়টি বুঝতে পেরে কিছুটা যাওয়ার পর ইঞ্জিন থামিয়ে দেন চালক। খবর দেওয়া হয় রেলের আধিকারিকদের। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলের আধিকারিকরা। তারা বগিগুলিকে জুড়ে দিলে আবার মালগাড়িটি গন্তব্যস্থলের দিকে রওনা দেয়। যদিও কী কারণে বগি খুলে গিয়েছিল তা জানা যায়নি। সেক্ষেত্রে যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল নাকি কারও গাফিলতি ছিল তা জানার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, মালগাড়িটি ধুলিয়ান থেকে সাঁকোপাড়া হল্টের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় আচমকা ১০-১২টি বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। বাকিগুলি তখনও চলতে থাকে। তবে আশেপাশের দোকানদার এবং বাসিন্দারা সতর্ক ছিলেন। ফলে বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। না হলে কী হত সেটা ভেবেই সবাই শিউরে উঠছেন। বিশেষ করে লাইনচ্যুত হলে সেক্ষেত্রে বড় বিপদ ঘটতে পারতো। কারণ রেললাইনের আশেপাশে অনেক দোকান ও বাড়ি রয়েছে। খবর পেয়েই আধিকারিকরা পৌঁছে পুনরায় বগিগুলি জোড়া লাগান। তারপরে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি একাধিক ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে রেলমন্ত্রক। গত বছর ওড়িশায় চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তাতে প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া, জুলাই মাসে নিউ জলপাইগুড়ির কাছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছিল।