গাড়ি কিনেও স্বস্তি মিলল না পুরপ্রশাসক সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের। কারণ এই গাড়ি কেনার পরই তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করে। এমনকী এই অভিযোগ তুলে টাকি পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী–সমর্থকদের একাংশ। নাগরিক পরিষেবা নিয়েও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তাঁরা। সরকারি টাকায় পুরপ্রশাসক বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন বলে অভিযোগ তাঁদের। সুতরাং গাড়ি কিনে বিস্তর বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে পুরপ্রশাসককে।
এই ঘটনা তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই প্রকাশ্যে নিয়ে এল বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কারণ এই পুরসভা তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত। সেখানে পুরপ্রশাসকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। আবার বিক্ষোভে পুরসভা চত্ত্বর উত্তাল হয়ে উঠেছিল। এমনকী প্রায় ২৩ লক্ষ টাকা খরচ করে কেনা নতুন গাড়ির চাকায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে তোলপাড় হয়ে যায় টাকি পুরসভা।
এই বিষয়ে পুরপ্রশাসক সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘সরকারি গাড়ি আমি চড়ি না। মরচে পড়া পুরসভার গাড়ি মেরামত না করে নতুন গাড়ি কেনা হয়েছে। এখানে দুর্নীতির কিছু নেই। করোনার জেরে কিছুদিন কাজ বন্ধ ছিল। এখন টেন্ডার চাকা হয়েছে। উন্নয়নের কাজ শুরু হবে।’ আর পাল্টা আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, পুরসভা উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ করে রেখেছে। বর্ষা শুরুর মুখে ডেঙ্গির আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এখন ব্লিচিং ছড়িয়ে মশা ধ্বংস করা দরকার, তখন লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে কয়েকজনের স্বার্থে দামি গাড়ি কেনা হয়েছে।
পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর চিন্ময় মণ্ডল অভিযোগ করেন, ‘ওয়ার্ড আবর্জনায় ভর্তি। রাস্তাঘাট বেহাল। নিকাশি নালারও একই অবস্থা। মুখে বলা হচ্ছে টাকা নেই অথচ ২৩ লক্ষ টাকা দিয়ে নতুন গাড়ি কেনা হল। আমাদের সকলকে অন্ধকারে রেখে পুর প্রশাসকের এই কাজ মানুষ ভালভাবে নিচ্ছেন না।’