কলকাতা ও শহরতলিতে একের পর এক বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনায় নজিবিহীনভাবে একবারে ৫৭টি বেআইনি বাড়ি ভাঙার নির্দেশ দিল কামারহাটি পুরসভা। কামারহাটি পুরসভার মুসলিম অধ্যুষিত ১ - ৭ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে এই বাড়িগুলি। পুরসভার এই নির্দেশে প্রশ্ন উঠছে, বেআইনি এই বাড়িগুলি তৈরির সময় কী করছিল তারা, যেখানে ৩৫টির মধ্যে ৩২টি ওয়ার্ড তৃণমূলের দখলে? সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে এটাই কি তৃণমূলের তোষণের রাজনীতির শেষের শুরু?
কামারহাটির পুরপ্রধান গোপাল সাহা জানিয়েছেন, কামারহাটির বিভিন্ন জায়গা থেকে বেআইনি বাড়ি তৈরির অভিযোগ এসেছিল। সেগুলিকে শুনানির জন্য বাড়ির মালিকদের ৩ বার তলব করা হয়। কিন্তু কেউ হাজির হয়নি। এর পর পুরবোর্ড বাড়িগুলি ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে। ১ - ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এই বাড়িগুলি ভাঙা হবে। এর মধ্যে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ধোবিয়া বাগান এলাকার হেলে পড়া বাড়িটি ভাঙার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে।
বলে রাখি, কামারহাটি পুরসভার ১ - ৭ নম্বর ওয়ার্ড অবাঙালি মুসলিম অধ্যুষিত। বিজেপির অভিযোগ, মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক মজবুত করতে ওই এলাকায় দিলেন পর দিন বেআইনি বহুতল তৈরিতে মদত দিয়েছে তৃণমূল। সেখানে বিহারি মুসলিমদের এনে বসানো হয়েছে। বদলে ফেলা হয়েছে সেখানকার জনবিন্যাস। শুধু তাই নয়, বেআইনি বহুতলের প্রোমোটাকেক থেকে স্কোয়ারফুট পিছু কাটমানি খেয়েছে তারা। তার সব থেকে বড় নিদর্শন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হেলে পড়া বাড়িটি। যেখানে রাজ্যে নিজের জমিতে পাঁচিল দিতে গেলেও পুরসভার অনুমতি দিতে হয় সেখানে তলার ওপর তলা উঠে গেলেও কেন কেউ বাধা দিল না?
বিজেপির দাবি, এখন যখন বেআইনি বহুতল বুমেরাং হয়েছে তখন বাড়ি ভাঙার নির্দেশ দিয়ে দায় ঝাড়তে চাইছে তৃণমূল।