বরানগরের ISI ক্যান্টিনের কর্মী শ্রীমন্ত মাঝির দেহ উদ্ধারের রহস্য উদ্ধার করল পুলিশ। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, শ্রীমন্তর সহবাসসঙ্গী অটোচালক সুমন বিশ্বাসই যুবককে খুন করেছেন। সুমনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শ্রীমন্ত ও সুমনের মধ্যে সমপ্রেম ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই সুমন – শ্রীমন্তকে খুন করেছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
বরানগর থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, সুমন বিবাহিত। তাঁর এক সন্তান রয়েছে। যুবকের বাড়ি চাকদায়। ISI এর ক্যান্টিনে ২ জনের পরিচয় হয়। এর পরে দুজনে সমপ্রেমের সম্পর্কে জড়ান। সুভাষপল্লিতে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতেন সুমন। সেখানে শ্রীমন্তকে নিয়ে আসেন তিনি।
ধৃত সুমন জানিয়েছেন, স্ত্রী - সন্তানকে ছেড়ে পাকাপাকিভাবে তাঁর সঙ্গে থাকার জন্য কিছুদিন ধরে চাপ দিচ্ছিলেন শ্রীমন্ত। কিন্তু তাতে রাজি ছিলেন না সুমন। এই নিয়ে ২ জনের সম্পর্কের অবনতি হয়। তাঁর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সম্প্রতি সুমনের আপত্তিকর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন শ্রীমন্ত। এই নিয়ে ২ জনের বিতণ্ডা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার রাতে বিবাদ চলাকালীনই শ্রীমন্তকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সুমন। এর পর আত্মগোপন করে সে।
যে বাড়িতে সুমন ভাড়া থাকতেন তার প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ২ যুবক যে সমপ্রেমে লিপ্ত থাকতে পারেন তা ঘুণাক্ষরেও তারা টের পাননি। তবে ২ জনে নিজেদের মধ্যে স্বামী - স্ত্রীর মতো কথা বলতেন। বাড়ির মালিক বলেন, প্রতি মাসে আমাকে সময় মতো ভাড়া মেটাত। কোনও ঝামেলায় থাকত না। ভিতরে এসব ছিল কী করে জানব বলুন?