ভাটপাড়ায় তৃণমূল নেতা অশোক সাউকে খুন করা হয়েছে। এখানে নাম উঠে আসছে সজল সাউয়ের। বুধবার সকালে একেবারে হাড়হিম অপারেশন। গুলি, বোমা নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত হামলা। সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন যোগেন্দ্র পাসোয়ান। তিনিই জানিয়েছেন ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা।
যোগেন্দ্র পালঘাটের একটি চায়ের দোকানে ছিলেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, আমি আর অশোক কেক কিনে খাব। এমন সময় হামলা চালানো হল। চায়ের দোকানের বাইরেও অনেকে ছিল। কেউ মাস্ক পরে ছিল না। একজনের হাতে দুটো বোমা ছিল। আর সবার হাতে বন্দুক। ৫ মিনিটে ওরা গোটা অপারেশন করে পালিয়ে গেল।
এদিকে খুনের নেপথ্যে ঠিক কী কারণ রয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্যে তৃণমূল বিজেপি চাপানউতোর তুঙ্গে। বিজেপি নেতা অর্জুন সিং জানিয়েছেন, মৃতের পরিবার প্রকাশ্যে বলেছে যারা খুন করেছে তারা তৃণমূল নেতা সোমনাথ শ্য়াম ঘনিষ্ঠ। এরাই প্রিয়াঙ্কু পান্ডের উপর হামলা চালিয়েছিল। যাকে খুন করেছে সে তৃণমূল নেতা। আমার মনে হয় মৃতের পরিবারের এনআইএ তদন্ত চেয়ে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে লিখিতভাবে জানানো দরকার। কারণ এই ঘটনায় বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা সবরকম আইনি সহযোগিতা করব।
বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম জানিয়েছেন, পঙ্কজ ছিল অর্জুনের আশ্রয়ে।..অশোক সাউ খুনে পঙ্কজই গুলি বোমা সরবরাহ করেছিল।
এদিকে মনে করা হচ্ছে দাদার খুনের বদলা নিতেই অতর্কিতে হামলা চালানো হয়েছিল। পুলিশ কাউসার আলি নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে। প্রসঙ্গত ২০২০ সালে খুন হয়েছিলেন আকাশ প্রসাদ। সেই খুনে অভিযুক্ত ছিল অশোক সাউ। আর এবার সেই অশোককে সরিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা। কার্যত বদলা নিল।
এদিকে কিছুদিন আগে গত অক্টোবরে হাওড়ায় খুন করা হয়েছিল এক তৃণমূল কর্মীকে।
হাওড়ার শিবপুরে খুন করা হয়েছিল তৃণমূল কর্মীকে। তবে সেই খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে বড় সাফল্য পেয়েছিল হাওড়া সিটি পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশ সব মিলিয়ে ৬জনকে গ্রেফতার করেছিল বলে খবর। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে নিজেদের মধ্যে শত্রুতার জেরে এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
ধৃতদের কাছ থেকে পুলিশ একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র, একটি স্কুটি ও একটি বাইক উদ্ধার করেছিল। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ মহম্মদ দানিশ ও মহম্মদ ফৈয়াজ নামে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে। তাদের জেরা করেই পুলিশ অন্য়ান্যদের সম্পর্কে খোঁজ পায়।
হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলেন,ঘটনার পরেই কলকাতা পুলিশকে সতর্ক করা হয়। সেই রাতেই কলকাতা পুলিশের একটি টিম ঘটকপুকুরে একটি সন্দেহভাজন স্কুটিকে তাড়া করে। তারা স্কুটি ফেলে পালিয়ে যায়। পুলিশ এরপর খুনের সময় যে স্কুটিটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটাকেও বাজেয়াপ্ত করেছে। এদিকে এক দুষ্কৃতী ঘটনার পরে উত্তরপ্রদেশে পালিয়ে গিয়েছিল। তাকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তার নাম আফতাব। গাজিপুর, আজিমগড়, বরাবাকি এলাকায় পুলিশের টিম গিয়েছিল। এরপর পুলিশ তার সন্ধান পায়।
সূত্রের খবর, আব্দুল কাদির নামে এক যুবক চায়ের দোকানে বসেছিলেন। সেই সময় কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে গুলি করেছিল। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।