বিজেপি করতেন দেবাশিস শীল। আর সেই অপরাধে পাড়ার কলে তাঁকে জল নিতে দিত না তৃণমূলের লোকজন। অভিযোগ এমনটাই। আর সেই জল নেওয়াকে কেন্দ্র করে মেদিনীপুর শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তুমুল গণ্ডগোল বেঁধে যায়। তার জেরে বচসা, হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। সেই সময় দেবাশিস শীল ও তাঁর স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে দেবাশিসকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃত্য়ু হয় দেবাশিসের। এদিকে দেবাশিসের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। বিজেপির অভিযোগ বিজেপি করার অপরাধেই দেবাশিসকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।
মৃতের স্ত্রী বাসন্তী শীল বলেন, ‘আমাদের পাশের বাড়িতে মমতা দে বলে একজন থাকে। কলে জল নিতে বাধা দিত তারা। আসলে বিজেপির করার পর থেকে আমার স্বামীর উপর রাগ। পাশের বাড়ির লোকজন নানাভাবে ওকে হেনস্থা করত। আমাকে বলছে জল নিতে দেব না। বিজেপি করি বলি জল নিতে দিত না। আমার স্বামীকে ঘুঁষি মেরে, লাথি দিয়ে মেরেছে। তৃণমূলের লোকজন মেরে ফেলেছে আমার স্বামীকে।’ এদিকে ঘটনার পরই তদন্তে নামে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যেই তিনজনকে আটক করেছে।
বিজেপি নেতা অরূপ দাসের দাবি,' বুথের রেজাল্ট খারাপ হওয়ার পর থেকেই দেবাশিসকে হুমকি দেওয়া হত। তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী মমতা দে জল নেওয়ার সময় বাধা দেয়। দেবাশিসকে মারধর করা হয়েছিল। তার জেরেই মৃ্ত্যু।' জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরার দাবি ,'এটা পাড়াগত ঝামেলা। এর সঙ্গে রাজনৈতিক রঙ লাগানো হচ্ছে।'