গঙ্গার ধারে পুঁতে রাখা হয়েছিল দুটি দেহই। একটি খুনের কিনারা করতে গিয়ে আরেকটি খুনের কিনারাও হয়ে গেল। পুলিশ ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। দুটি খুনের কথাই স্বীকার করে অভিযুক্ত।
গত ১৯ ডিসেম্বর পানিহাটির গিরিবালা ঘাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৪৫ বছর বয়সি শেখর পালের দেহ। এরপর গত শনিবার ওই ঘাট থেকেই শিবনাথ দাস নামে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। কয়েকদিনের মধ্যে দুই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হওয়ায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। সোমবার সকালে শিবনাথ খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বিপ্লব দাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের কাছে শিবনাথকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় সে। সেই কথা বলতে গিয়ে আরও একটি প্রসঙ্গও উঠে আসে। পুলিশ জেরা করে জানতে পারে, শুধু শিবনাথকেই নয়, আরও কয়েকদিন আগে নারায়ণপুর থানার কাটাখালের বাসিন্দা শেখর পালকেও খুন করেছে সে। দুজনকেই মদ খাইয়ে খুন করা হয়েছে। খুন করার পর মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। শেখরকে মাটিতে ভালোভাবে পুঁতে দেওয়া হলেও শিবনাথকে ভালোভাবে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়নি।
ইতিমধ্যে পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কেন পর পর দুটি খুন করতে হল বিপ্লবকে তা এখনও স্পষ্ট নয়। শিবনাথ, শেখরের সঙ্গে কীভাবে বিপ্লবের পরিচয় হল, কেনই বা তাঁদের প্রতি আক্রোশ জন্মালো, সেই উত্তরও খুঁজছে পুলিশ। পুলিশে জানিয়েছে, বিপ্লবের মানসিক স্থিতাবস্থা নেই। বিপ্লবকে জেরা করে এই জোড়া খুনের বিষয়ে আরও অনেক তথ্য পেতে চাইছে পুলিশ।