মুর্শিদাবাদের গোথা হাই স্কুলে জাল নথি দিয়ে চাকরি পাওয়ার ঘটনার তদন্তে আদালতে রিপোর্ট পেশের পরই জঙ্গিপুরের সহকারী স্কুল পরিদর্শককে গ্রেফতার করল সিআইডি। সুনীল কুমার বর্মন নামে ওই সহকারী স্কুল পরিদর্শকের বিরুদ্ধে জাল নথি লোপাট করার অভিযোগ রয়েছে। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে আরও কতগুলো এরকম কেলেঙ্কারি তিনি করেছেন তা জানার চেষ্টা শুরু করেছেন গোয়েন্দারা।
সোমবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে গোথা হাই স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত রিপোর্ট পেশ করে সিআইডি। তাতে তারা দাবি করে, তদন্তে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। তবে বেশ কয়েকজন সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদ্ধতি মেনে পদক্ষেপ করা দরকার। সেজন্য শিক্ষা দফতরের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতি পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।
এর পরই খবর পাওয়া যায় জঙ্গিপুরের সহকারী স্কুল ইন্সপেক্টর সুনীল কুমার বর্মনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। সূত্রের খবর, যে জাল নথি দাখিল করে অমিমেষ তিওয়ারি চাকরি পেয়েছিলেন সেগুলো অনলাইনে নির্দিষ্ট জায়গা আপলোড করেছিলেন সুনীলবাবু। পরে তদন্ত শুরু হলে সেখান থেকে ডিলিট করে দিন ওই আধিকারিক। ফলে তদন্তকারীদের অনুমান আর্থিক লেনদেনে যুক্ত থাকতে পারেন তিনিও। সেজন্য তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান গোয়েন্দারা।
সিআইডি সূত্রে খবর, একই ধরণের দুর্নীতি অন্তত ১ ডজন হয়েছে। তার কোনওটির সঙ্গে সুনীলবাবুর যোগ রয়েছে কি না তা জানতে চান তাঁরা।
মুর্শিদাবাদের সুতির গোথা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অসীম তিওয়ারির ছেলে অনিমেষ জাল নথি জমা দিয়ে বাবার স্কুলেই চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে অসীম, অনিমেষ ছাড়াও জেলার প্রাক্তন DI পূরবী বিশ্বাস ও ২ কারণিক অঞ্জনা মজুমদার ও নিত্যগোপাল মাজিকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।