বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > মদ খেয়ে সব নৌকায় উঠেছিল, নামতে বললেও শোনেনি,বললেন বেলডাঙায় ডুবে যাওয়া নৌকার মাঝি

মদ খেয়ে সব নৌকায় উঠেছিল, নামতে বললেও শোনেনি,বললেন বেলডাঙায় ডুবে যাওয়া নৌকার মাঝি

দশমীর বিকেলে বেলডাঙার ডুমনি বিলে নৌকাডুবির মুহূর্ত।

আত্মারামবাবু জানিয়েছেন, সোমবার বিকেলে প্রতিমা যখন মাঝ বিলে তখন ১টি বাঁশ সরানো যাচ্ছিল না। মত্ত অবস্থায় থাকা হাজরা পরিবারের সদস্যরা সেটিকে টেনে সরাতে একদিকে জড়ো হয়ে যান।

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় ডুমনি বিলে নৌকাডুবির ঘটনায় চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন এক মাঝি। তাঁর দাবি, মত্ত অবস্থায় প্রতিমা বিসর্জন দিতে এসেই বিপত্তি। সোমবার বিজয়া দশমীর বিকেলে ডুমনি বিলে ২টি নৌকাডুবি ঘটে। তাতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

যে ২টি নৌকায় করে প্রতিমা বিসর্জন হচ্ছিল, তার একটির মাঝি আত্মারাম জানিয়েছেন, ‘সোমবার বিকেলে তাঁর নিষেধ অমান্য করেই নৌকায় অতিরিক্ত লোক ওঠে। তিনি নৌকা থেকে কয়েকজনকে নেমে যেতে বললেও কেউ সেকথা শোনেনি। এর পর তাঁকে নৌকা নিয়ে বিলের মাঝে যেতে বাধ্য করা হয়।’

প্রথা মেনে ২টি নৌকার মাঝে আড়াআড়ি কয়েকটি বাঁশ রেখে তার ওপর বসানো হয় প্রতিমাটি। বাঁশগুলি সরিয়ে নিলে প্রতিমা জলে পড়ে যায়। আত্মারামবাবু জানিয়েছেন, সোমবার বিকেলে প্রতিমা যখন মাঝ বিলে তখন ১টি বাঁশ সরানো যাচ্ছিল না। মত্ত অবস্থায় থাকা হাজরা পরিবারের সদস্যরা সেটিকে টেনে সরাতে একদিকে জড়ো হয়ে যান। মাঝি বলেন, ‘আমি সবাইকে একদিকে জড়ো হতে বারণ করি। বলি যে আমি বাঁশ সরিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু আমার কথা শোনেনি। আমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়।’

আত্মারামবাবু জানিয়েছেন, তিনি ৪০ বছর ধরে হাজরাবাড়ির প্রতিমা নিরঞ্জনে মাঝির দায়িত্ব পালন করছেন। এমন দুর্ঘটনা আজ পর্যন্ত ঘটেনি। ওদিকে ৫ জনের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ডুমনিবিল সংলগ্ন এলাকা। 

ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। পুরনো এই পুজোর ভাসানে কেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকরা। করোনা বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কী করে এত মানুষ বিসর্জনে অংশগ্রহণ করেছিল? কেন তাদের বাধা দিলেন না পুলিশকর্মীরা? যাবতীয় আইন-কানুন কি শুধু শহরের জন্য? প্রশ্ন থাকবে। 

 

বন্ধ করুন
Live Score