অধীর গড়ে দুই তৃণমূল প্রাক্তনীকে দলে নিয়ে বিপাকে পড়ল কংগ্রেস ও বিজেপি নেতৃত্ব। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সদস্যপদ বাতিল হয়ে গেল দুই কংগ্রেস ও বিজেপি নেতার। গত ২ জুলাই জেলা পরিষদের তৃণমূল নেতা তজিমুদ্দিন খানের অভিযোগের ভিত্তিতে ভার্চুয়াল বৈঠক করা হয়েছিল। সেই বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তে কংগ্রেস নেতা মোশারফ হোসেন ও বিজেপি নেতা বৈদ্যনাথ দাসের সদস্যপদ খারিজ করা হয়।বুধবার মোশারফ হোসেন ও বৈদ্যনাথ দাসের সদস্যপদ বাতিল করার কথা ঘোষণা করেন মালদহে ডিভিশনাল কমিশনার।
এই নিয়ে বিপাকে পড়েছে মুর্শিদাবাদের দুই বিরোধী নেতৃত্ব। আবার এই দুই প্রার্থীকে দল ফেরাতে অস্বীকার করেছে তৃণমূল। কারণ, এমন দুই নেতার সদস্য পদ বাতিল হয়েছে, যাঁরা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে একজন কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। আরেকজন বিজেপিতে যোগ দেন। যথাক্রমে ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি মোশারফ হোসেন। অন্য দিকে, বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সহকারি সভাধিপতি বৈদ্যনাথ দাস।
তবে নির্বাচনে ঠাঁই পায়নি কোনও দলই। দু’দলের ভরাডুবির পর থেকেই এই দুই নেতা যে যার দলে সুর বদলাতে শুরু করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দু’দলে জল্পনা শুরু হয়ে যায় যে, দলবদল করে এই দুই নেতা ফের তৃণমূলে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন।
তবে এই দুই নেতাকে ঘরে ফেরাতে নারাজ তৃণমূল শিবির। তাঁদের বক্তব্য, ‘দলের কঠিন সময়ে এই নেতারা দলত্যাগ করেছিলেন। সেক্ষেত্রে গদ্দারদের দলে ফেরানো হবে না। কারণ, প্রাক্তন সভাপতি সহ মোট ১১ জন সদস্য দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে অভিযোগ ঘাসফুল শিবিরের।যদিও মোশারফ হোসেন জানিয়েছিলেন, তিনি নিজের ইচ্ছায় দল থেকে পদত্যাগ করেছেন।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও সহ-সভাপতি পদে এখনও নির্বাচন হয়নি। ওই দু’টি পদে কে বসবেন, তা নিয়ে এখন জল্পনা তুঙ্গে। তবে এই বিষয়ে কোনও দলই মুখ খুলতে রাজি নয়। এরইমধ্যে জেলার কংগ্রেসের কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা তৃণমূলে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। দলের অন্দরে কানাঘুষা চলছে যে, তাঁদের মধ্যে দু’জন প্রাক্তন বিধায়কও রয়েছেন। তৃণমূলের বক্তব্য, যারা পুরনো কংগ্রেসী তাঁরা যদি দলে আসতে চান, সেক্ষেত্রে সাদর আমন্ত্রণ। কিন্তু যারা দলের কঠিন সময় দলত্যাগ করেছিলেন, তাঁদের আর দলে ফেরানো হবে না।