মুর্শিদাবাদ জেলা বিভাজন ও নাম পরিবর্তনের বিরোধিতায় সরব হল বিজেপি। এমনকী নাম অপরিবর্তিত রেখে মুর্শিদাবাদ জেলাকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার দাবি জানালেন বিজেপি বিধায়ক গৌরীশংকর ঘোষ। এই দাবিতে রাজ্যপাল ও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। জেলা ভাগকে সমর্থন জানালেও নাম পরিবর্তনের বিরোধিতা করেছেন প্রদেশকংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী।
সোমবার দুপুরে নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যে নতুন ৭ জেলা গঠনের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, মুর্শিদাবাদ জেলা ভেঙে আরও ২টি জেলা গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। জেলা হবে কাঁদি, বহরমপুর ও জঙ্গিপুর। মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশংকর ঘোষ বলেন, ‘গতকাল ঘোষণার পর থেকেই মানুষের মধ্যে ক্ষোভ জমেছে। মুর্শিদাবাদ বাংলা - বিহার – উড়িষ্যার রাজধানী ছিল। মুর্শিদকুলি খাঁর নামে এর নামকরণ। যা আমাদের গর্ব। সেই নাম বদল আমরা মেনে নেব না। মানুষ মেনে নেবে না।’
অর্পিতার নেইল আর্ট পার্লারে হানা ইডির, শাটার ভেঙে চলল তল্লাশি
এর পর তিনি বলেন, ‘মুর্শিদাবাদ জেলার নাম অপরিবর্তিত রেখে এই জেলাকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণার দাবিতে রাজ্যপাল ও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি।’
অধীরবাবু বলেন, ‘প্রশাসনিক প্রয়োজনে জেলা ভাগ হতেই পারে। কিন্তু নাম বদল হবে কেন? এর আগে মেদিনীপুর, ২৪ পরগনা ভাগ হয়েছে। নাম বদলাতে হয়নি তো। এবারও পূর্ব মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মুর্শিদাবাদ নামকরণ করা যেতে পারত। তা না করে মুখ্যমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা মানুষ মেনে নেবে না।’
এই নিয়ে তৃণমূলের তরফে প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়েছে, মানুষ বিরোধীদের প্রত্যাখ্যান করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে রাজ্য চালানোর ভার তুলে দিয়েছে। তাই তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন তাই মেনে নেবে দল ও মানুষ।
মেয়ের সঙ্গে পার্থর সম্পর্কের কথা জানতাম না, দাবি অর্পিতার মায়ের
সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা ভেঙে হবে সুন্দরবন জেলা। ইতিমধ্যে সুন্দরবন পুলিশ জেলা বিভাজন হয়েছে। এর জেলা সদর হতে চলেছে কাকদ্বীপ।
এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনা জেলা ভেঙে হতে চলেছে ইছামতি ও বসিরহাট জেলা। ইছামতি জেলার জেলাসদর হতে চলেছে বনগাঁ। এছাড়া নদিয়া জেলা ভেঙে হতে চলেছে রানাঘাট জেলা। মুর্শিদাবাদ জেলা ভেঙে হতে চলেছে কান্দি ও বহরমপুর জেলা। বাঁকুড়া জেলা ভেঙে হতে চলেছে বিষ্ণুপুর জেলা। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রশাসনিক কাজে সুবিধার জন্য এই পদক্ষেপ করেছে সরকার। তবে বিরোধীদের দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি থেকে মানুষের নজর ঘোরাতে মমতার এই পদক্ষেপ।