বউমাকে বাড়ি থেকে তাড়াতে বাধা হয়ে উঠেছিল ৪ বছরের নাতনি। তাই নাতনিকে খুন করে তার দায় বউমার ওপর চাপানোর চেষ্টা করলেন শাশুড়ি। ঘটনা মুর্শিদাবাদের নওদা থানার চুনারি পাড়ার। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত নাবালিকার নাম তিথি চুনারি (৪)। বুধবার দুপুরে বাড়ির শৌচাগারে উদ্ধার হয় তার দেহ। মৃত শিশুটির মা জানিয়েছেন, বুধবার দুপুরে পুকুরে কাপড় কাচতে গিয়েছিলেন তিনি। ফিরে এসে আর মেয়েকে দেখতে পাননি। এর পর সারা বাড়িতে মেয়েকে খোঁজা শুরু করেন। তখনই শৌচাগারে মেয়ের নিথর দেহ দেখতে পান। মায়ের চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তাঁরাই শিশুটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনার খবর পেয়ে আসে পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় তারা। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে শিশুটিকে।
গণধর্ষণ করে গলা টিপে খুন করা হয়েছিল লখিমপুরের দুই বোনকে, ঘটনায় পুলিশের জালে ৬
নিহত শিশুর মা জানিয়েছেন, ৫ বছর আগে অজয় চুনারির সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। তিনি অজয়বাবুর তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী। এর আগে অজয়বাবুর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। শাশুড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সংসার ছেড়েছিলেন অজয়বাবুর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীও। বিয়ের পর থেকে তাঁর ওপরেও নির্যাতন করতেন শাশুড়ি। সম্প্রতি তাঁকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে ছেলের ফের বিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন বৃদ্ধা। কিন্তু নাতনির জন্য তাঁর পরিকল্পনা সফল হচ্ছিল না। তাই নাতনিকে খুন করে তার দায় আমার ঘাড়ে চাপিয়ে আমাকে বাড়ি থেকে বিদায় করার উদ্দেশ ছিল তাঁর।
ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত ঠাকুমা। তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।