কম্পিউটার সায়েন্সের মেধাবী ছাত্র সুশান্ত চৌধুরীর বিরুদ্ধে উঠেছে খুনের অভিযোগ। সুশান্ত চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে ছক কষে তার বান্ধবী সুতপা চৌধুরীকে খুন করেছে। সুতপাকে একের পর এক ছুরির কোপ মারা হযেছে। এমনকী মাটিতে যখন লুটিয়ে পড়েছিল ছাত্রী তখনও তাকে লাথি মারতে দেখা গিয়েছে। সেই ভিডিয়ো ফুটেজ এখন ভাইরাল। যা দেখে সবাই শিউরে উঠেছেন। এবার এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
কী সেই চাঞ্চল্যকর তথ্য? এই ঘটনার পর সুশান্তের ভাই সুরজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘কয়েক মাস ধরে ও বদলে যাচ্ছিল। ঠিক করে কথাও বলত না। এমনকী একদিন মায়ের দিকেও হাঁসুয়া নিয়ে তেড়ে গিয়েছে দাদা।’ এই মন্তব্যের পর থেকে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে ছাত্র সুশান্তের ভিতরে খুনি তৈরি হচ্ছিল? সম্পর্ক ভাঙনের দিকে যাচ্চিল বলেই এই ঘটনা? উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
কী বলছেন সুশান্তের বাবা? ছাত্রী খুনের ঘটনায় যখন তোলপাড় বহরমপুর তখন সুশান্তের বাবা নিখিল চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশের চাকরি করতে গিয়ে অনেক অপরাধী দেখেছি। ছেলের কাণ্ডটা কিছুতেই বুঝতে পারছি না। কেনই এমন কাণ্ড ঘটাল— উত্তর মিলছে না।’ সুশান্তের বাবা শিলিগুড়ি কমিশনারেটের পুলিশ কনস্টেবল। সুশান্তকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বহরমপুরে ফার্স্ট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নীলাদ্রি নাথ।
সুশান্তের কী কিছু বলার আছে? আদালত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিতেই সুশান্ত এজলাসের বাইরে সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করল, ‘ফেসবুক লাইভ করে যা বলার বলব।’ সম্প্রতি ফেসবুকে ‘অ্যাবাউট’ বদলেছিল সুশান্ত। সেখানে লিখেছিল, ‘এই বেওয়াফা তোর উপর একদিন অনেক ভারী পড়বে। এমনকি তোর জান পর্যন্ত যেতে পারে ম্যাডামজি’। এটা কী সুতপার উদ্দেশে হুমকি? ভাবাচ্ছে পুলিশকে।