মুর্শিদাবাদে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে আড়াল করার চেষ্টার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ক্ষোভে ফেটে পড়ল গোটা গ্রাম। পলাতক অভিযুক্ত।
ঘটনা মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওড়াহর এলাকার। সেখানেই মা ও ২ ভাইয়ের সঙ্গে বাস নির্যাতিতার। স্থানীয় স্কুলে নবমের ছাত্রী সে। বাবা থাকেন ভিনরাজ্যে।
সম্প্রতি এলাকার যুবক আবদুর রহিম ওরফে ফিটুর কাছে বিজ্ঞান বিষয় পড়তে যেত নির্যাতিতা ছাত্রী। সেখানে অন্য সবাইকে ছুটি দিয়ে ওই ছাত্রীকে পড়ানোর নাম করে আটকে রাখতেন গৃহশিক্ষক। এর পর তাকে ধর্ষণ করত সে। গত কয়েক মাসে এভাবেই গৃহশিক্ষকের কাছে ধর্ষণের শিকার হয় ছাত্রী।
আতঙ্কে সম্প্রতি আবদুর রহিমের কাছে পড়তে যেতে চাইছিল না সে। এছাড়া মেয়ের কিছু আচরণে মায়ের সন্দেহ হয়। মায়ের জেরার মুখে সব কথা জানায় মেয়েটি। জানায়, ধর্ষণের কথা কাউকে জানালে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে গৃহশিক্ষক।
এর পর ঘটনার কথা পাড়া প্রতিবেশীকে জানান নির্যাতিতার মা। সঙ্গে সঙ্গে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। শাস্তির দাবিতে সরব হয় এলাকাবাসী। ভগবানগোলা থানায় দায়ের হয় অভিযোগ।
স্থানীয়দের দাবি, দোষী আবদুর রহিমকে আড়াল করতে এর পর ঘটনায় রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা করে রহিমের মামি তৃণমূলি পঞ্চায়েত সদস্য অঞ্জুরা বিবি। ঘটনাটি সিপিএম ও কংগ্রেসের ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন তিনি। এতে এলাকায় ক্ষোভ আরও বাড়ে।
নাবালিকার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়েছে। অভিযুক্ত ফিটু পলাতক। তাকে খুঁজছে পুলিশ।