চিকিৎসকরা জানিয়েছেন আমার স্বামী পুরো পাগল হয়ে গিয়েছেন। সারাদিন বলে চলেছে ‘চন্দনাকে আনবো’। শনিবার এমনই দাবি করলেন বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির সঙ্গে বিবাহবিতর্কে জড়ানো গাড়িচালক কৃষ্ণ কুন্ডুর স্ত্রী শম্পা। এদিন কৃষ্ণের সুস্থতার কামনায় তাঁকে গিয়ে পানাগড়ের একটি মন্দিরে গিয়েছিলেন তিনি। চিকিৎসক জবাব দিয়ে দেওয়ার পর দিশাহারা বধূও। তাঁর প্রশ্ন, সত্যি যদি ভালোবাসত ফোন করে অন্তত ১টা খবর নিত চন্দনা।
গত ১৮ অগাস্ট বাঁকুড়ার শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির সঙ্গে তাঁর গাড়ির চালক কৃষ্ণ কুন্ডুর পরকীয় সম্পর্কের কথা জানাজানি হয়। পরদিন স্বামীকে পাশে বসিয়ে গোটা ঘটনাকে রাজনৈতিক চক্রান্ত বলে দাবি করেন বিধায়ক। যদিও ততক্ষণে থানা - পুলিশ হয়ে গিয়েছে। চন্দনা ও কৃষ্ণের বিরুদ্ধে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটি থানায় বধূনির্যাতনের অভিযোগ করেছেন শম্পা।
এরই মধ্যে গত ২১ অগাস্ট হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন কৃষ্ণ। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে চিকিৎসার পর শারীরিক জটিলতা থেকে মুক্তি পেলেও মানসিকভাবে এখনো বিপর্যস্ত যুবক। তাঁর স্ত্রী জানিয়েছেন, ‘সারাদিন বলে চলেছে চন্দনাকে আনবো। ডাক্তারবাবুরা বলেছেন পুরো পাগল হয়ে গিয়েছে।’
এই পরিস্থিতিতে স্বামীকে সুস্থ করতে শনিবার পানাগড়ে এক মন্দিরে যান শম্পাদেবী। তিনি বলেন, ‘আমি আর মানতে পারছি না। আমার মাথার ঠিক নেই। সারাদিন চন্দনা চন্দনা করে চলেছে। এতই যদি ভালোবাসত তাহলে তো একদিন ফোন করে খবর নিত।’