হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে বধূর রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। গৃহবধূর পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, ঝুলন্ত অবস্থা দেহ উদ্ধারের পর তা রাস্তা ফেলে রেখে পালিয়ে যান শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তরুণীর বাড়ির লোক ও স্থানীয় বাসিন্দারা দেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে পুলিশ এসে দেহ নিয়ে যায়। শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচূর চালায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বধূর নাম মধু পাখিরা (১৮)। গ্রামের যুবক সুরজিৎ পাখিরার সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। মাস ছ'য়েক আগে তাঁরা বিয়েও করেন। মধুর বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকে তাঁর উপর অত্যাচার শুরু হয়। শ্বশুরবাড়ির লোকজন ছাড়াও অত্যাচারে সামিল ছিলেন তাঁর স্বামীও।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের নির্দেশে গ্রুপ-ডি'র চাকরি গিয়েছে স্বামীর, আত্মঘাতী হলেন স্ত্রী
তরুণী বৌদি দীপা সাঁতরা বলেন, 'অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মাঝে মাঝে বাপের বাড়ি চলে আসত ননদ। কিছু দিন আগেও তিনি বাপের বাড়ি চলে আসেন। পরে আবার শ্বশুরবাড়ি ফিরে যান। তার পরই এই ঘটনা হল।' তাঁর অভিযোগ মধুকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে বিপদ বুঝে রাস্তায় দেহ রেখে পালিয়ে গিয়েছে তাঁরা।
দীপা সাঁতরা জানিয়েছেন, ভালোবেসে বিয়ে করেছিল দু'জনে। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোক এই বিয়ে মেনে নেয়নি। তাই বিয়ের পর থেকেই তাঁর উপর অত্যাচার করা হতো।
দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে গ্রামবাসীরা প্রায় তিন ঘণ্টা মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশ তদন্তের আশ্বাস দিলে তাঁরা দেহ ছাড়েন। দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি করেছেন গ্রামবাসীরা।