স্বামী খুন হয়েছিলেন দশ বছর আগে। এবার রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল প্রৌঢ়ার। মঙ্গলবার সকালে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির শহজাহান গ্রামের অধিকারী পাড়ায়। এদিন ওই মহিলার বাড়িতেই তাঁর দেহ দেখতে পান প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হলে, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁর দেহ উদ্ধার করে। তারপর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ঘটনার তদন্তে নেমেছে কুলতলি থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই মহিলার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। একাকি মহিলার রহস্যজনক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম সুচিত্রা অধিকারী(৫৭)। মৃতার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। যা থেকে পুলিশের অনুমান, ওই মহিলাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে, তবেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে মত পুলিশের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার স্বামী মধুসূন অধিকারী ২০১১ সালে খুন হন। তিনি তৃণমূলের কর্মী ছিলেন। মহিলার দু’টি ছেলে রয়েছে। কিন্তু তাঁরা কর্মসূত্রে পরিবার নিয়ে অন্যত্র থাকেন। এদিন সকালে প্রতিবেশীরা গলায় কাপড় জড়ানো অবস্থায় ওই মহিলার মৃতদেহ দেখতে পান। খবর দেওয়া হয় কুলতলি থানায়। এই রহস্যজনক মৃত্যুর পিছনে পারিবারিক কোনও কারণ রয়েছে, নাকি পুরনো কোনও শত্রুতার জের তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
প্রতিবেশীদেরও সন্দেহ সুচিত্রাদেবীকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমাতে গিয়েছিলেন সুচিত্রাদেবী। তার আগে কয়েকজন প্রতিবেশীর সঙ্গে তাঁর দেখাও হয়। কিন্তু মঙ্গলবার সকালেই ঘরের মেঝেতে মৃত অবস্থায় তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন পড়শিরা। তবে এই খুনের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।