প্রায় রাতেরবেলা উড়ে আসে রহস্যময় প্যারাশুট। সঙ্গী হিসাবে উপস্থিত থাকে গোপন ক্যামেরাও। কিন্তু কীসের নজরদারি করতে আসে কেউ জানে না। গ্রামবাসীরা এতদিন শুনত এমন রাতে ঘটে। কিন্তু কখনও তা চোখে দেখেনি। এবার শোনা কথাই বাস্তবে দেখতে পেল গ্রামবাসীরা। ফাঁকা মাঠে পড়ে ছিল ‘স্পাই ক্যামেরা’–সহ একটি প্যারাশুট। আজ, শুক্রবার সকালে এই ঘটনাই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া পঞ্চায়েত এলাকায়।
ঠিক কী ঘটেছে নন্দীগ্রামে? স্থানীয় সূত্রে খবর, রাতের অন্ধকারে প্যারাশুট–সহ গোপন ক্যামেরা মাঠে এসে পড়েছে। তাই দেখে প্রথমে গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তারপর সেগুলি উদ্ধার করে পঞ্চায়েত পুলিশের প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়। গোলপাড়ায় মাঠে প্যারাশুট এল কোথা থেকে? এই প্রশ্ন এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে গ্রামবাসীদের মনে। উদ্ধার করার পর সেগুলিকে সোনাচূড়া বাজারে নিয়ে আসা হয়। তারপর সেটা যায় পঞ্চায়েতের কার্যালয়ে। সেখান থেকে নন্দীগ্রাম থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
কী বলছেন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান? একুশের নির্বাচনের সময় থেকে এটা পুনরায় হটস্পট হয়ে উঠেছিল। কারণ যুযুধান প্রতিপক্ষের নাম ছিল—মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী। তারপর অনেক জল এখান দিয়ে গড়িয়েছে। কিন্তু এখন এই রহস্যময় প্যরাশুট–সহ গোপন ক্যামেরা উদ্ধার হওয়ায় আবার নন্দীগ্রাম সংবাদে জায়গা করে নিল। এই বিষয়ে সোনাচূড়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কালীকৃষ্ণ প্রধান বলেন, ‘আজ শুক্রবার সকালে এলাকাবাসী মাঠে প্যারাশুট, ক্যামেরা এবং যন্ত্রাংশ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে সেখানে যান পঞ্চায়েত সদস্য খোকন শিট। প্যারাসুটে লাগানো ক্যামেরা উদ্ধারের ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। তাই আতঙ্ক তৈরি হয়।’ যদিও এখন সেই আতঙ্ক কেটেছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, বহুদিন আগে একটা রিমোটচালিত হেলিকপ্টার উদ্ধার হয়েছিল মহিষাদলের আজড়া স্কুলের মাঠে। তখন জানা গিয়েছিল, বারুইপুর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এগরার বন্যাদুর্গত এলাকায় দ্রুত ওষুধ পৌঁছে দিতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় সেই হেলিকপ্টারটি মহিষাদলের আজড়ায় নামাতে বাধ্য হয়েছিল সংস্থার কর্তারা। কিন্তু আজকের রহস্যময় প্যারাশুটে গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে কে বা কারা ছেড়েছে সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। গ্রামের মানুষজনের আলোচনা উঠে এসেছে, পাকিস্তান থেকে এসেছে এই রহস্যময় প্যারাশুট। তবে কোনও প্রমাণ মেলেনি।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup