লক্ষ্য ছিল দুটি। এক, রেফার প্রক্রিয়ার অবসান ঘটানো। দুই, শহরের উপর থেকে চাপ কমানো রোগীর। এই দুটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে এবার নতুন ভবন গড়ে উঠল নবদ্বীপ হাসপাতালে। সেখানে পরিকাঠামো উন্নতমানের করা হয়েছে। বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। চিকিৎসার আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। যার ফলে এখন জেলার রোগীকে আর কলকাতায় চিকিৎসার জন্য ছুটে যেতে হবে না। এমনকী পথে যেতে গিয়ে রোগীর মৃত্যু ঘটবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। এইসব দিক চিন্তা করেই নতুন ভবন গড়ে তোলা হয়েছে। এটা একটা বড় উদ্যোগ বলে মনে করছেন জেলার মানুষজন।
এদিকে নবদ্বীপ হাসপাতালে ওই নতুন ভবন চালু করা হয়েছে। এখন থেকেই সেখানে চিকিৎসার জন্য যেতে পারবেন এই জেলার মানুষজনেরা। এখানে ইমারজেন্সি থেকে শুরু করে সমস্ত ধরণের রোগের পরিষেবা পাওয়া যাবে বলে জানা গিয়েছে। এতে খুশি রোগীদের পরিবারের সদস্যরাও। এখন এখানে রোগী নিয়ে এলে ফিরে যেতে হবে না। রেফার করার কথা শুনতে হবে না। এমনকী আধুনিক চিকিৎসা পেয়ে রোগীরা সুস্থ হবেন বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর। এখানে রয়েছে একাধিক চিকিৎসকও। ফলে ফিরে যেতে হবে না রোগীদেরও।
আরও পড়ুন: তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী দিল বামেরা, হাত শিবিরে এল একটি আসন
অন্যদিকে নবদ্বীপ হাসপাতালের এই নতুন ভবনে আছে চিকিৎসার আধুনিক সরঞ্জাম। এতদিন নবদ্বীপ হাসপাতালের পুরনো ভবনে চলত রোগীদের চিকিৎসা। কিন্তু সেখানে চাপ বাড়ছিল। ফলে রেফারের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। চিকিৎসকের অভাবের কথাও শোনা গিয়েছিল। সমস্ত পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ ছিল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, জুন মাস থেকেই এখানে শিশু বিভাগ চালু হয়ে গিয়েছে। সেখানে শিশুদের যাবতীয় চিকিৎসা এখন করা হচ্ছে। মহিলা এবং পুরুষদের মেডিসিন ও সার্জিক্যাল দুটি বিভাগও চালু হয়েছে। ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের এই নতুন ভবন রোগীর কাছে বড় সুযোগ হয়ে উঠেছে।
ইতিমধ্যেই এখানে রোগীরা আসতে শুরু করেছেন। অনেকে ভর্তি হচ্ছেন চিকিৎসার জন্য। এমন অনেকেই আছেন যাঁরা চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে অত্যন্ত খুশি। রোগ সারিয়ে তাঁরা বাড়ির পথেও গিয়েছেন। কিন্তু আগে নবদ্বীপ হাসপাতালে রোগীর চাহিদা অনুযায়ী নানা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হতো না। তাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে রোগীরা নানা অভিযোগ তুলতেন। এবার রোগী ও তাঁদের পরিবারের কথা মাথায় রেখেই নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে আরও উন্নত পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। তাই বাস্তবায়িত হয়েছে নয়া ভবনের।