এগরায় বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। রাজ্যে বেআইনি বাজি কারখানা রুখতে ছয় দফা নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন। এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে পুলিশ সুপার ও কমিশনারদের। পাশাপাশি বেআইনি বাজি কারখানা শ্রমিকদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের তৈরির কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।
ছ'দফা নির্দেশিকার বলা হয়েছে, বেআইনি বাজি কারখানার সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বেআইনি বাজি কারখানায় তল্লাশি চালিয়ে কারখানা বন্ধ করে দিতে হবে। সমস্ত বাজি বাজেয়াপ্ত করতে হবে। আদালতের নিয়ম মেনে বাজি নষ্ট করতে হবে। প্রচুর বাজি হলে ধাপে ধাপে তা নষ্ট করতে হবে।
এগরার ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, অভিযুক্ত ভানু বাগ আগেও একাধিকবার বেআইনি বাজি কারখানা চালানোর জন্য গ্রেফতার হয়েছেন। মুক্তি পেয়ে আবার বাজি কারখানা চালু করেছেন। এমনটা যাতে না তার জন্য পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় থানাকেই নজরদারি চালাতে হবে।
নবান্ন থেকে বলা হয়েছে, বেআইনি বাজি কারখানাগুলিতে স্থানীয় বাসিন্দারাই কাজ করেন। তাই হঠাৎ কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে তারা বেকার হয়ে পড়বেন। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় তাঁদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
(পড়তে পারেন। কলাপাতায় মুড়ে চিকিৎসা ভানু বাগের, শিউরে ওঠা দৃ্শ্য দেখলেন মানুষজন)
এর পাশাপাশি স্থানীয় মানুষকে বোঝাতে হবে এই ধরনের কারবারের ক্ষতিকর দিক। যাতে তাঁরা এই কারবারের সঙ্গে যুক্ত না হন।
এ দিকে এগরা কাণ্ডের পর তৎপর হয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার হুগলির বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ প্রচুর পরিমাণে বাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ১১ জনকে। শুধু হুগলি জেলাতেই উদ্ধার হয়েছে ৭৩৮ কেজি বাজি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে হুগলির চণ্ডীতলা, ধনিয়াখালি, খানাকুল হরিপাল, সিঙ্গুর সহ একাধিক জায়গায় হানা দেয় পুলিশ।