এবার খোদ নবান্নের দোরগোড়ায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে হয়নি বলেই অভিযোগ উঠেছে। এমনকী এখানে আধার কার্ডের সঙ্গে রেশন কার্ডের সংযুক্তিও সঠিকভাবে হয়নি। ঘটনাস্থল হাওড়া। নবান্নের পক্ষ থেকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই দুই প্রকল্পে গতি আনার জন্য। নির্দেশ পাবার পরই একযোগে কাজ শুরু করেছে হাওড়া পুরসভা ও জেলা প্রশাসন।
নবান্নের নির্দেশ পেয়ে নড়েচড়ে বসেন জেলাশাসক থেকে পুরসভার চেয়ারপার্সন। দেখা যায়, তড়িঘড়ি জেলাশাসক মুক্তা আর্য–সহ জেলা প্রশাসনের কর্তারা ছুটে যান হাওড়া পুরসভায়। সেখানে এসে চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তীর সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন তাঁরা। সেখানেই ঠিক হয় কালীপুজোর পর দ্রুত গতিতে আটকে থাকা কাজ বাস্তবায়িত করা হবে।
একদিকে আধার কার্ড–রেশন কার্ড সংযোগ অন্যদিকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়িত করা হবে। আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পেতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক ছিল। এখন রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে এই নথি না থাকলেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা মিলবে। তাই এই নথি ছাড়া যেসব আবেদনপত্র পড়ে রয়েছে তা দ্রুত ছাড়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, হাওড়া পুর এলাকার একাধিক রেশন দোকান আধার কার্ডের সঙ্গে রেশন কার্ডের সংযুক্তি করেননি। তাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আধার কার্ড–রেশন কার্ড সংযুক্তিকরণের কাজ ঠিক মতো করতে হবে। এই কাজে গতি আনতে পুরসভা ও জেলাশাসকের দফতরের একজন আধিকারিক বিষয়টি নিয়ে নজরদারি চালাবেন।