বর্ষাকাল এলেই নদী ভাঙন এখানে একটা সম্যা হয়ে দাঁড়ায়। গঙ্গা–ফুলহার নদীতে ভেসে যায় গ্রামের পর গ্রাম। এবার তা ঠেকাতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, সেচ দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিবকে গঙ্গা–ফুলহার নদীর সার্ভে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই একটি পরিদর্শক দল গঠন করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
আগামী মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে যাচ্ছেন সেচমন্ত্রীর নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধিদল। সেখান থেকে ফিরেই অ্যাকশন প্ল্যান নেওয়া হবে। এখন জিওগ্রাফিক্যাল সার্ভে করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ‘আমরা নয়াদিল্লি থেকে ফিরেই কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করব। এখন জিওগ্রাফিক্যাল সার্ভে করার কথা বলা হয়েছে।’
নদী ভাঙনের জেরে মালদহে বিপদের আশঙ্কা ক্রমশই বাড়ছে। তার জেরে গত কয়েক বছর ধরে ক্রমশই কমে আসছে গঙ্গা–ফুলহার নদীর দূরত্ব। এখন দূরত্ব কমে হয়েছে ১.২০ কিলোমিটার। যা নিয়েই বিপদের আশঙ্কা করছে জেলা প্রশাসন। প্রতি বছর এই গঙ্গা নদীর ভাঙন হচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ মিটার। এই ভাঙন চলতে থাকলে গঙ্গা–ফুলহার নদী একসঙ্গে মিশে যাবে।
আর এই ঘটনা যদি ঘটে তাহলে কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মুছে যাবে। লক্ষ লক্ষ মানুষ বিপদের মধ্যে পড়বে। তাই সময় নষ্ট করতে চাইছে না রাজ্য সরকার। মহানন্দ টোলা বিলাই মারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে জল নামলেই অতিরিক্ত মুখ্যসচিব পরিদর্শন করতে পারেন। আবার নদীর গতিপথের পরিবর্তন হলে বিপদ বাড়বে। এখন এই আশঙ্কা ও আতঙ্ক নিয়ে দিন কাটাচ্ছে দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামবাসীরা।