বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Dengue prevention program: মার্চ থেকেই ডেঙ্গি মোকাবিলায় নেমে পড়ল নবান্ন, জানুন কোন পথে

Dengue prevention program: মার্চ থেকেই ডেঙ্গি মোকাবিলায় নেমে পড়ল নবান্ন, জানুন কোন পথে

নবান্নে একটি বৈঠক করেন স্বাস্থ্য সচিব। (টুইটার)

বৃহস্পতিবার নবান্নে এই নিয়ে একটি বৈঠকে হয়। স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের নেতৃত্বে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা।

ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বছরের গোড়া থেকেই ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার নবান্নে এই নিয়ে একটি বৈঠকে হয়। স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের নেতৃত্বে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। কী ভাবে ডেঙ্গি মোকাবিলা করা হবে তার সুর্নির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরি হয়েছে এই বৈঠকে।

নবান্ন সূত্রে খবর, ডেঙ্গি প্রতিরোধে মূলত জোর দেওয়া হচ্ছে সচেতনতাতে। সে কারণে শুধু ডেঙ্গি নয়, মশাবাহিত রোগ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে গ্রাম ও শহরাঞ্চলে ১ লক্ষ ৩২ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী মোতায়েন করা হবে। যাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে মশাবাহিত রোগ সম্পর্কে সচেতন করবেন। চলতি মাস থেকেই এই সচেতন করার কর্মসূচি শুরু হয়ে গিয়েছে। যা বছরের শেষ পর্যন্ত চলবে। গ্রামাঞ্চলে প্রতিটি পঞ্চায়েতে ১৫ জনের একটি কমিটি তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যারা সারা বছর মশাবাহিত রোগ সম্পর্কে গ্রামবাসীকে সচেতন করতে বিভিন্ন কর্মসূচি নেবে।

(পড়তে পারেন। বেসরকারি হাসপাতালে বেলাগাম খরচ? মাঝরাতেই অভিযোগ জানান, রইল রাজ্যের নয়া হেল্পলাইন

এছাড়া এই সচেতনতা কর্মসূচির অঙ্গ হিসাব স্কুল শিক্ষা দফতর, সমাজ কল্যাণ দফতর, পুলিশ এবং আবাসন বিভাগকে মশাবাহিত রোগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

ডেঙ্গি টেস্ট করতে রাজ্য সমস্ত সরকারি হাসপাতাল এবং পুরসভার ক্লিনিকগুলিতে ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৫০০ মিটার লম্বা খালগুলিকে সপ্তাহে দু'বার পরিষ্কার করার কর্মসূচি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কারাখানা, ডাম্পিং গ্রাউন্ড, পরিত্যক্ত ফাঁকা জমিতে গর্তে জল জমে থাকে। সেগুলিকে নিয়মিত নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া গ্রামাঞ্চলে যারা সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে বাড়ি বাড়ি যাবেন তাঁদের পরিচয়পত্র ও জ্যাকেট দেওয়া হবে। ২৯ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গি সপ্তাহ পালনের কথা বৈঠকে।

ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য সাড়ে আট হাজার মেডিক্যাল অফিসার এবং প্যারামেডিক্যাল স্টাফদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া অঙ্গনওয়াড়ি ও আশাকর্মীদের মশাবাহিত রোগের বিরুদ্ধে সচেতনতার কাজে ব্যবহার করা হবে।

একই ভাবে জানুয়ারি মাস থেকেই মশাবাহিত রোগের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে পড়েছে কলকাতা পুরসভা। তারাও জোর দিয়েছে সচেতনতায়।

 

বন্ধ করুন