নবান্নে ৩ দফতরের বসানো হবে সিসিটিভি ক্যামেরা। ডিএ বৃদ্ধি করে সরকারি কর্মীদের 'পুরস্কার' দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে নবান্নের সরকারি কর্মীদেরই একাংশের বিরুদ্ধে এবার উঠল খবর পাচার করার অভিযোগ। গত মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী দু'টি বৈঠক করেন। সেখানে উচ্চপদস্থ আমলা থেকে পুলিশকর্মীরা 'বকা' খেয়েছিলেন মমতার। সেই বৈঠকে সংবাদমাধ্যমের প্রবেশাধিকার ছিল না। তা সত্ত্বেও বৈঠকের সব তথ্য প্রকাশ্যে চলে আসে। এই আবহে সরকারি কর্মীরা কীভাবে ভিতরের খবর বাইরে 'পাচার' করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই আবহে কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। রিপোর্ট অনুযায়ী, সিসিটিভির মাধ্যমে নজরদারি চলবে অর্থ, স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্র দফতরে। সেই নজরদারি সংক্রান্ত রিপোর্ট পাঠানো হবে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী দফতরে। এদিকে এই সব দফতরে ঢুকতে গেলে এবার থেকে মোবাইল বাইরে রেখে ঢুকতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। (আরও পড়ুন: দিতে হবে ২৮ লাখ, সঙ্গে ৯ বছরের জন্য ৮% সুদ, বড় রায় বাংলার সরকারি কর্মীর পক্ষে)
আরও পড়ুন: কী ঘটেছিল ১৬ মে? ডিএ আন্দোলনকারী ভাস্করের বিরুদ্ধে কেন উঠল শ্লীলতাহানির অভিযোগ
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের সব দফতরের মন্ত্রী, সচিব, যুগ্মসচিব, জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের নিয়ে মঙ্গলে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেই একাধিক আধিকারিকের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। রিপোর্ট অনুযায়ী, বৈঠকে পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা অভিযোগ করেন, কয়লা পাচার, বালি পাচার, গরু পাচার, ট্রাক ওভারলোডিংয়ের মতো কাজ চলছে পুলিশ কর্তাদের চোখের সামনেই। এই দুর্নীতির থেকে তোলা টাকা কাঁথি যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন মমতা। এদিকে একাধির দফতরের সচিবদের পড়তে হয় মমতার রোষের সামনে। রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই দফতরের সচিব রাজেশ পাণ্ডেকে কাজ নিয়ে সতর্কও করেন মমতা। এদিকে সমবায় সচিব কৃষ্ণা গুপ্তার বারংবার দিল্লি সফর নিয়ে নাকি মঙ্গলের বৈঠকে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মমতা।
আরও পড়ুন: ১৮ শতাংশ ডিএ-র 'ভাঁওতা' ধরলেন অবসরপ্রাপ্ত তৃণমূলী সরকারি কর্মী, করলেন বড় দাবি
এদিকে তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরের সচিব রাজীব কুমারকে বকুনি শুনতে হয় মমতার। এর পাশাপাশি কারিগরী শিক্ষা বিভাগের কাজ নিয়ে দফতরের সচিব অনুপ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে মমতার রোষের মুখে পড়েন পঞ্চায়েত দফতরের সচিব পি উলগানাথন। অপরদিকে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটককে তিনি আলাদা করে দেখা করতে বলেন বলে জানা গিয়েছে। শ্রমমন্ত্রীর কাজে মমতা খুশি নন বলে দাবি করা হচ্ছে রিপোর্টে। উত্তরবঙ্গের চা-বাগান সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে মলয়কে পৃথক বৈঠকে ডাকেন মমতা।