বিরোধীরা যতই সমালোচনা করুন, একের পর এক বলিষ্ঠ পদক্ষেপে সেইসব অভিযোগ চুরমার করে দিচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই বর্ডার আউট পোস্টের জন্য বিএসএফকে জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। নদিয়ার করিমপুরে ০.৯ একর জমি দেওয়া হচ্ছে বিএসএফকে। তবে এখানেই শেষ নয়, সীমান্ত সুরক্ষায় আরও দুই জেলায় নির্দিষ্ট জায়গায় বিএসএফকে জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। জলপাইগুড়ি এবং মালদায় জমি দেওয়া হচ্ছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
এই জলপাইগুড়ি এবং মালদা জেলা উত্তরবঙ্গের মধ্যে পড়ে। আর এই দুই জায়গা থেকে প্রতিনিয়ত অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। শুধু তাই নয়, এই দুই জায়গা দিয়ে জঙ্গিরা ঢুকে এপার বাংলায় নাশকতার ছক করছে। তাই বিএসএফকে এই দুই জেলায় জমি দিয়ে সীমান্ত পুরোপুরি সিল করতে চাইছে রাজ্য সরকার। বাংলাদেশি নাগরিকরাও এই পথে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে গা–ঢাকা দিচ্ছে বলে অভিযোগ। তাই বাংলার মানুষের সুরক্ষার স্বার্থে জলপাইগুড়ির অন্তর্গত বিন্নাগুড়িতে ০.০৫ একর এবং মালদার নারায়নপুরে ১৯.৭৩ একর জমি দেওয়া হবে বিএসএফকে।
আরও পড়ুন: এসএফআইয়ের বুক স্টল থেকে চুরি হয়ে গেল ত্রিপল, কলকাতা বইমেলায় তুলকালাম কাণ্ড
আজ, মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই এই জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএসএফকে ওই দুই জেলায় জমি দেওয়ার পাশাপাশি তিনটি জায়গায় হোম স্টে করার জন্য জমির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দুটি হোম স্টে হবে আলিপুরদুয়ারে এবং একটি হোম স্টে হবে জলপাইগুড়িতে। চারটি চা–বাগান থেকে এই জমি নেওয়া হচ্ছে। সেখানেই গড়ে উঠবে পর্যটকদের জন্য সুন্দর হোম স্টে। বিজেপি অভিযোগ করে জমি দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জমি দেওয়ার পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশ নিয়ে বারবার বলেন, ‘বর্ডার বিএসএফের দেখার কথা।’ এবার জমিও দেওয়া হচ্ছে।
যে পাঁচটা রাজ্যে বাংলাদেশ সীমান্ত আছে সেটা ৪ হাজার কিলোমিটারের। শুধু বাংলায় রয়েছে ২২০০ কিলোমিটার। তার মধ্যে ৫৯৬ কিলোমিটার কাঁটাতারের বেড়া নেই। সেই সুযোগটা নিচ্ছে অনুপ্রবেশকারীরা। বিএসএফ এখানে কম নজর দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার ফলে ওপার বাংলা থেকে মানুষ এপার বাংলায় ঢুকে পড়ছে। এইসব কারণে বিএসএফকে জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি নদিয়াতে সীমান্ত সংলগ্ন মাটির তলায় চারটি বাঙ্কারের হদিশ পায় বিএসএফ। আবার একই এলাকা থেকে দুই রোহিঙ্গা যুবককেও গ্রেফতার করে পুলিশ। তাই এখানে আগে জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আজ, মঙ্গলবারের বৈঠকে জলপাইগুড়ি এবং মালদা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।