অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। সিএএ (নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন) অনুযায়ী নদিয়া জেলার আসাননগরের বাসিন্দা বিকাশ মণ্ডল পেলেন ভারতীয় নাগরিকত্ব। বিকাশ মণ্ডল ২০১২ সালে বাংলাদেশের ঝিনাইদহ থেকে পুরো পরিবার নিয়ে আসাননগরে চলে আসেন। সিএএ পাশ হওয়ার পর থেকেই তিনি নাগরিকত্বের আবেদন করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন।
গত ১৭ মে অনলাইনে আবেদন করেন বিকাশ মণ্ডল। তারপরে, ২৭ মে তাকে কৃষ্ণনগর পোস্টাল সুপারিনটেনডেন্ট অফিসে ভেরিফিকেশনের জন্য ডাকা হয়। সকল নথি জমা দেওয়ার পর, আজ বৃহস্পতিবার তিনি ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়েছেন।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দফতরের তরফে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সিএএ সংক্রান্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি বুধবার থেকে সিএএ আইন অনুযায়ী নাগরিকত্বের শংসাপত্র বিলির কাজ শুরু করেছে। উল্লেখযোগ্য যে, লোকসভা ভোটের চতুর্থ দফার পরে গত ১৫ মে প্রথমবার ৩০০ জন সিএএ আবেদনকারীকে শংসাপত্র দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয়কুমার ভাল্লা স্বয়ং দিল্লিতে ১৪ জন আবেদনকারীর হাতে ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র তুলে দেন।
আরও পড়ুন। মামা বাড়ি বেড়াতে গিয়ে আশ্রমে চুরির অভিযোগ, চরম পরিণতি হল আদিবাসী ছাত্রের
সিএএ অনুযায়ী নাগরিকত্ব প্রদানের কাজ পুনরায় শুরু হওয়ার ফলে, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ডের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের আবেদনকারীরাও তাদের নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেতে শুরু করেছেন। তবে এখনও এই আইনে নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদন নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। ফলে অনেকই আবেদন করেননি।
আরও পড়ুন। ‘বাড়িতে সরবরাহ করা জল ২ তারিখ পর্যন্ত পান করা যাবে না’, নিষেধ করলেন শিলিগুড়ির মেয়র
বিকাশ মণ্ডলের এই নাগরিকত্ব প্রাপ্তি তার পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আনন্দের ঢেউ তুলেছে। তার মত আরও অনেকে এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তাদের আবেদন প্রক্রিয়ার সফল সমাপ্তির জন্য।
সিএএ নিয়ে দেশব্যাপী বিভিন্ন মতবিরোধ ও বিতর্ক থাকা সত্ত্বেও, এই আইন অনুযায়ী যে সমস্ত মানুষ ভারতীয় নাগরিকত্ব পাচ্ছেন, তাদের মধ্যে বিশেষ করে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির বাসিন্দাদের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরেছে।
আরও পড়ুন। কাঞ্চনজঙ্ঘায় ট্রেকিংয়ে গিয়ে মৃত্যু বালির ব্যক্তির, সান্দাকুফেতে গিয়ে মৃত আরও ১