হাঁসখালিতে তৃণমূলের নিহত অঞ্চল সহ সভাপতি আমোদ আলি বিশ্বাস খুনে বিস্ফোরক দাবি করলেন নিহতের স্ত্রী। শুক্রবার দুপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, এর আগেও তিন বার স্বামীকে লক্ষ্য করে বোমা ছুড়েছিল দুষ্কৃতীরা। আজ তাঁকে খুন করার আগে দুষ্কৃতীরা বলে, তুই এখনও মরিসনি! আজ দেখি বাঁচিস কী করে?
নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী বলেন, ‘সকালে গিয়ে চায়ের দোকানে বসেছে। তখন একজন ডেকেছে। ডেকে কথা বলছিল। আগে থেকে মানুষ রেডি করে রেখেছে। উনি তো জানে না যে সকাল ৮টায় আমাকে মেরে ফেলবে। এক জায়গায় গিয়ে বুঝতে পারেন যে তাঁকে খুন করার চক্রান্ত হয়েছে। বুঝতে পেরে দৌড়ে পালাতে যান তিনি’।
তাঁর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, ‘আগেও ওরা ৩ বার বোমা মেরেছে। তিন বারই বেঁচে যান। আজকে বলে, তোকে তিন বার বোমা মারলাম তুই এখনো মরিসনি? দেখ আজকে মরিস কি না’।
নিহতের স্ত্রীর দাবি, ‘আমার স্বামী তৃণমূল করে। ওরা মেম্বার ছিল। ওরা মেরে ধরে খেতে পারে না। লোকে এনাকে ভালো বলে সেজন্যই হিংসা। ওরা এখন সব বিজেপি করে। ওরা আমার স্বামীকে বাড়িতে থাকতে দিত না’।
শুক্রবার সকালে নদিয়ার হাঁসখালির রামনগর বড় চুপড়িয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সহ-সভাপতি আমোদ আলি বিশ্বাসকে ভরা বাজারে তাড়া করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। হাঁসখালি থানা সূত্রে খবর, নিহত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট।