আবার বিশেষ অভিযান চালিয়ে চার বাংলাদেশি–সহ এক ভারতীয় দালালকে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রতিনিয়ত অবৈধ পথে ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় চলে আসছে নাগরিকরা। রাতের অন্ধকারে বিএসএফের চোখে ধূলো দিয়ে এপারে চলে আসছে ওপার বাংলার নাগরিকরা। বহু জঙ্গিও এভাবে ঢুকে পড়েছিল। যদিও ধরা পড়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলাদেশের ওই চার অনুপ্রবেশকারী দু’মাস আগে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে। তারপর এক দালাল চক্রের সহযোগিতা নিয়ে গা–ঢাকা দিয়েছিল ওই অনুপ্রবেশকারীরা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। এভাবেও বেঁচে যেতে পারল না তারা।
শনিবার মাঝরাতে চার অনুপ্রবেশকারী সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে যাওয়ার ছক কষে। সেই মতো এগিয়েও ছিল তারা। তখন গোপন সূত্রে খবর আসে নদিয়ার হাঁসখালি থানা পুলিশের কাছে। ওই খবরের উপর ভিত্তি করে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই চারজন বাংলাদেশি–সহ একজন ভারতীয় দালাল চক্রের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তবে এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে হাঁসখালি থানায়। মহম্মদ ইউনুস সরকারের জমানায় বাংলাদেশ এখনও তেতে আছে। রোজ সেখানে নানা ধরণের হিংসার ঘটনা ঘটে চলেছে। স্বয়ং বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস মুছে ফেলতে এখন উদ্ধত হয়েছে বাংলাদেশ। সেখানে হিন্দুদের উপর হামলা নেমে আসছে। তার জেরেই এখানে অনুপ্রবেশ বাড়ছে।
আরও পড়ুন: প্রাণ বাঁচাতে পড়ুয়ারাই তৈরি করলেন স্পিড ব্রেকার, প্রতিবাদের সাক্ষী রইল বিধাননগর
এবার যে চারজন অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়েছে তাদের প্রত্যেককেই আজ রানাঘাট বিচারবিভাগীয় আদালতে পেশ করা হয়। আর ওই চার বাংলাদেশি নাগরিককে কতদিন আশ্রয় দিয়ে রেখেছিল দালালচক্রে জড়িত ব্যক্তিরা সেটা তদন্তের স্বার্থে আদালতে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, চার বাংলাদেশি নাগরিকের নাম—জসিমউদ্দিন ইসলাম, বাড়ি বাংলাদেশের মহেশপুর, বাহারুল এসকে, বাড়ি খুলনা জেলায়, কুদ্দুস সরকার, নড়াইল এবং আকলিমা সর্দার, জেলা খুলনা। এই চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অবৈধ পথে ওপার থেকে এপারে এই চারজন এসেছিল। বেআইনিভাবে সীমান্ত পার করে অন্য দেশে ঢুকে সেখানে বসবাস করা শুধু অন্যায়ই নয়, অপরাধও বটে। ভারতীয় দালাল চক্রের মধ্যে রয়েছে রাজীব বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি। যাকে এখন পুলিশ খুঁজছে। কারণ পুলিশের প্রাথমিক অনুমান প্রত্যেক অনুপ্রবেশকারী এই ধরনের দালাল চক্রের সঙ্গে জড়িত। এই দালালচক্রে থাকা ব্যক্তিদের সহযোগিতা নিয়ে গা–ঢাকা দিয়ে থাকে জেলা–সহ বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে। পুলিশের এই লাগাতার অভিযান বারবারই সাফল্য এসেছে। এবারও তা এল।