অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে আবারও অভিযান চালাল জেলা পুলিশের টিম। পুলিশের জালে গ্রেফতার হয়েছে তিন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। সূত্রের খবর, মাঝরাতে নদিয়ার গাংনাপুর থানার পুলিশের একটি বিশেষ টিম অভিযান চালায়। আর তখনই সন্দেহ হওয়ায় তিন ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। পরবর্তীতে তাদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে ওই তিনজন ব্যক্তি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। তখন তাদের দ্রুত গ্রেফতার করা হয়। ওপার বাংলা থেকে অবৈধ পথে এপার বাংলায় এসেছিল তিনজন নাগরিক। বাংলাদেশ থেকে ভারতের অন্তর্গত রাজ্য বাংলায় অবৈধ পথে ঢুকে পড়ে তারা বলে অভিযোগ
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম জাফর মিয়া, কাজি আকাশ এবং কাজি মনিরুল হক। আজ, বৃহস্পতিবার ধৃতদের বিরুদ্ধে প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর নদিয়ার রানাঘাট বিচারবিভাগীয় আদালতে তাদের পাঠায় গাংনাপুর থানার পুলিশ। এর আগেও জেলা পুলিশের তৎপরতায় বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩০০ বেশি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিশেষ পুলিশের টিমের হাতে ধরা পড়ে যায়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসে, ওই তিনজন আসলে বাংলাদেশি নাগরিক।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যাবে না, কাঁথি ব্যাঙ্কের নির্বাচনে স্পষ্ট করল কলকাতা হাইকোর্ট
এরা বাংলাদেশের নানা জায়গায় থাকে। এখন বাংলাদেশে উত্তপ্ত পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে। সেখানে নতুন করে অশান্তি শুরু হয়েছে। আগে যে অশান্তি চলছিল তা থামেনি। মন্দির–গির্জার উপর আক্রমণ লেগেই রয়েছে। ইসকন মন্দিরের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে রাখা হয়েছে। হিন্দু নাগরিকদের উপর আক্রমণ নেমে আসছে। তার মধ্যেই বাংলাদেশের এই তিন নাগরিক এপার বাংলায় আসে চোরাপথেই। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তখন পথ আটকায় তাদের। জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাদের কথায় বিস্তর অসঙ্গতি ধরা পড়ে।
শুধু তাই নয়, অনুপ্রবেশকারীদের মদতদাতা ভারতীয় দালাল চক্রের সঙ্গে জড়িত বেশ কিছু ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল কদিন আগে। সম্প্রতি বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির পর থেকেই ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে অনুপ্রবেশের সংখ্যাটা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে বলেই গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে। একের পর এক অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়ায় আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। পুলিশের এই অভিযান চলতে থাকবে লাগাতার বলে খবর। তাদের কাছে এদেশের কোনও পরিচয়পত্রও মেলেনি। অবশেষে পুলিশের লাগাতার প্রশ্নে জেরবার হয়ে সত্যি কথা বলে ফেলে তারা। যা শুনে পুলিশের চোখ কপালে উঠে যায়। তাই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।