নওদায় তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলাম বিশ্বাসকে বোমা-গুলি ছুড়ে খুন করা হয়েছিল গত ২৪ নভেম্বর। সেই ঘটনায় এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য এল পুলিশের হাতে। পুলিশের অনুমান, বাংলাদেশের এক সুপারি কিলার এই খুনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। এমন কী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটিও বাংলাদেশ থেকে এসে থাকতে পারে।
এদিকে খুনে যুক্ত থাকার অভিযোগে শুক্রবার রাতে নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ পুলিশের ‘স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ’ ২ জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ দাবি করে, এই খুনের রহস্য প্রায় উদঘাটন করে ফেলেছে তারা। এদিকে এর আগে বেঙ্গালুরু থেকেও এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বিশেষ রিমান্ডে জেলায় নিয়ে আসা হবে বেঙ্গালুরু থেকে ধৃত দুই ব্যক্তিকে। ধৃত আসান সেখকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, ঘটনার দিন মতিরুলকে খুনের উদ্দেশ্য নিয়ে মোট ৮ জন জড়ো হয়। তাদের এক জন বাংলাদেশি বলে অনুমান করছে পুলিশ। এখন তারও খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
নদিয়ার করিমপুর ২ নম্বর ব্লকের সংঘ্যালঘু সেলের নেতা ছিলেন মতিরুল বিশ্বাস। তাঁর স্ত্রী রিনা বিশ্বাস নারায়ণপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান। নদিয়ার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মতিরুল বিশ্বাস এবং রিনা বিশ্বাসের ছেলে আমতলা মিশনে থাকে। তাঁকে দেখতে মুর্শিদাবাদে গিয়েছিলেন মতিরুল। তারপর নওদার মহম্মদপুর এলাকা থেকে মোটরবাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, টিয়াকাটা ফেরিঘাটে ওই তৃণমূল কংগ্রেস নেতার উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। আর তাঁকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি, গুলি ছোড়া হয়। তাতেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন মতিরুল।