বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে তৃণমূল এবং বিজেপি আলাদা ভাবে নন্দীগ্রাম দিবস কর্মসূচি পালন করেছে। ওইদিনই রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের শহিদ স্মরণের মঞ্চের একাংশ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছিল তৃণমূল। পরে থানাতেও এফআইআর করা হয়। সেই এফআইআরে একেবারেই প্রথমেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম রয়েছে। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতার নাম রয়েছে।
এই এফআইআরে নাম রয়েছে বিজেপির তমলুক সংগঠনের জেলা সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পালের। অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ ওই বিজেপি নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালায়। তাই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তার পরিবারের প্রশ্ন, কোনওরকম সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই কীভাবে বাড়িতে তল্লাশি চালাল পুলিশ? এই তল্লাশিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে অভিযোগ বিজেপির। যদিও নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। এদিকে, থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও বিষয়টিতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে রাজি নন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘এতে কোনও লাভ হবে না।’
প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামের গোকুলনগরের করপল্লিতে আলাদাভাবে শহিদ দিবস পালন করে তৃণমূল ও বিজেপি। তৃণমূলের মঞ্চে ছিলেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ছাড়াও রাজ্যের দুই মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী ও অখিল গিরি। অন্যদিকে বিজেপির সভায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দু’দলের ‘নন্দীগ্রাম দিবস’ কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে দিনভর সরগরম থেকেছে রাজ্য রাজনীতি। মঞ্চের একাংশ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে পরের দিনও সরগরম থাকে নন্দীগ্রামের রাজনীতি। এর প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। তারা দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানায়।