দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে ধর্ষিতা মহিলা নাম প্রকাশ করা উচিত হয়নি বলে ক্ষমা চাইলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমার টুইটার অ্যাকাউন্ট যারা চালায়, তাঁরা ভুল করেছিল। ধর্ষিতার নাম পরিচয় দেওয়া যায় না। সঙ্গে সঙ্গে আমি নাম তুলে নিতে বলেছি।’
গত বৃহস্পতিবার কুমারগঞ্জে এক আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। এই নিয়ে শুক্রবার সকালে টুইট করেছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, সেই টুইটে ধর্ষিতার নাম প্রকাশ্যে আনেন তিনি। যা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। শুক্রবার তারাপীঠের মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। রাজ্যে যেভাবে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, তাতে তৃণমূলকে আক্রমণ করে রাজ্য বিজেপি সভাপতি জানান, ‘রাজ্যে মা–বোনেরা একেবারেই সুরক্ষিত নন। মা–বোনেদের সুরক্ষার জন্যই তারাপীঠে মায়ের কাছে পুজো দিলাম।’ এরপরই টুইটারে নাম প্রকাশ নিয়ে ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘এই ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। এটা একেবারেই অনিচ্ছাকৃত ভুল। সঙ্গে সঙ্গে ভুল সংশোধন করে নেওয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে সোমজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বারোমাসা এলাকার জঙ্গল থেকে এক আদিবাসী মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার করা হয়। বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে অনুমান করছেন, ধর্ষণ করে প্রমাণ লোপাটের জন্যই মহিলাকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার অবনতির কথা তুলে তৃণমূল সরকারকে বিঁধেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। মহিলার সৎ ভাইকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিজেপির রাজ্য সভাপতির নেতৃত্বে পথ অবরোধ করা হয়।