তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই নন্দীগ্রামেই হারিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে সেই শুভেন্দু গড়েই এবার ভরাডুবি বিজেপির। নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের বিরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের হানুভুঁইয়া কৃষি উন্নয়ন সমবায়ের পরিচালন সমিতির নির্বাচনে জয়ী হল তৃণমূল। সমবায় নির্বাচনের ৫২টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছে ৫১টি আসন। বামেদের দখলে গিয়েছে একটি আসন।
এদিকে শুধু নন্দীগ্রাম নয়, কাঁথিতেও হারের সম্মখীন হয়েছে বিজেপি। সেখানে কাঁথি ৩ নম্বর ব্লকের মারিশদা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির সবকটি আসন গিয়েছে তৃণমূলের ঝুলিতে। এই নির্বাচনে মোট ৫২টি আসন ছিল। তার সবকটি পেয়েছে ঘাসফুল শিবির। এই নির্বাচনে বিজেপি সবকটি আসনে মনোনয়নও জমা করতে পারেনি। মাত্র ৪০টিতে মনোনয়ন পেশ করেছিল গেরুয়া শিবির। অপরদিকে বামেরা মনোনয়ন পেশ করেছিল মাত্র ২৯টি আসনে। এই আবহে একটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যায় শাসকদল। বাকি ৫১টি আসনে গত রবিবার ভোটগ্রহণ হয়। মোট ২৫০০ ভোটারের ৯০ শতাংশ ভোটই গিয়েছে তৃণমূলের ঝুলিতে।
এদিকে শুভেন্দুর নির্বাচনী এলাকায় হানুভুঁইয়া কৃষি উন্নয়ন সমবায়ের পরিচালন সমিতির নির্বাচনে জিতে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল। নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মহাদেব বাগ নির্বাচনে জয় প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিজেপির হাত ধরার অভিজ্ঞতা হয়েছে মানুষের। এই কারণেই সমবায়ের উন্নয়নের জন্য তৃণমূলের উপরই আস্থা রেখেছেন এলাকাবাসী।’ এদিকে অবশ্য বিজেপির দাবি, এই নির্বাচনের ফল তৃণমূলের সন্ত্রাসেপ জেরে। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘তৃণমূলের চাপা সন্ত্রাসের জেরেই মানুষ ভোট দিয়েছে তাদের। স্বচ্ছ নির্বাচন হলে তৃণমূলকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যেত না। সারা রাজ্যের তৃণমূল নেতাদের এমন দুর্নীতি, টাকা লুটপাটের মতো কাণ্ডের পর তৃণমূল নেতাদের মুখের দিকেও তাকাবে না সাধারণ মানুষ।’