শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিলেও তাঁর প্রতিই আস্থা রাখলেন নন্দীগ্রামের ‘শহিদ’ পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের কথায়, বিপদে আপদে সব সময় পাশে থাকেন দাদা। দল বদল করলেও তিনি এমন কোনও কাজ করেননি যাতে তাঁর ওপর আস্থা উঠে যাবে।
গত শনিবার মেদিনীপুরে বিজেপিতে যোগ দেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে তার আগে থেকেই নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কৃতিত্ব কার হাতে থাকবে তা নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই শুরু হয়েছিল তাঁর। সেই লড়াইয়ে দাদার পাশেই দাঁড়ালেন নন্দীগ্রামের ‘শহিদ’ পরিবারের সদস্যরা।
তৃণমূল যতই শুভেন্দুকে বিশ্বাসঘাতক বলে সুর চড়াক। নন্দীগ্রাম আন্দোলনে মৃত ইমদাদুল খানের বাবা আবদুল দাইহান সাহেব জানিয়েছেন, উনি আমাদের নয়নের মণি। শুভেন্দুবাবু আগেও আমাদের পাশে ছিলেন, এখনো আছেন। তাঁকে বিশ্বাসঘাতক বলব কী করে? শুভেন্দুর ওপরেই আস্থা রেখেছেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনে মৃত আরেক যুবক পুষ্পেন্দু মণ্ডলের দাদা কৃষ্ণেন্দু।
তৃণমূলের দাবি, এবার নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে দাঁড়ালে হারবেন শুভেন্দু। পালটা শুভেন্দু অনুগামীদের দাবি, নন্দীগ্রামে দাদাকে হারাতে পারে এমন কোনও শক্তি নেই। গত ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রাম দিবসের মঞ্চ থেকে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছিলেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, ১০ বছর পর নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়েছে তৃণমূলের। একই কথা বলছেন শহিদ পরিবারের সদস্যরাও। তাদের দাবি, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর ক্রমশ কমেছে নন্দীগ্রাম দিবসের গুরুত্ব। শুভেন্দু অধিকারী ছাড়া কাউকে দেখাও যায় না নন্দীগ্রামে। এমনকী গত বছর এই শোকের দিনে মুখ্যমন্ত্রী তারকাপরিবেষ্ঠিত হয়ে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের সূচনা করেছেন বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।